সিরাজগঞ্জের আ.লীগ নেতা চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার

গ্রেফতার আ.লীগ নেতা

সিরাজগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হাসেমকে (৪৮) চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাকে শহরের মালসাপাড়া কাটাওয়াপদা বাঁধ সংলগ্ন নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম এলাকায় ‘প্যানা হাসেম’ ও ‘বালু হাসেম’ নামে বেশি পরিচিত।

সদর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) নূরুল ইসলাম ‘প্যানা হাসেম’কে গ্রেফতার ও কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার দুপুরে আদালতে হাজির করার আগে তার ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, শনিবার সদর থানায় ‘প্যানা হাসেম’ ও তার একান্ত সহযোগী আবদুস সাত্তারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির মামলা করেছেন শাহজাদপুরের আয়ান কনস্ট্রাকশন কোম্পানির স্বত্বাধিকারী ইউসুফ আলী। তাদের মধ্যে আবদুস সাত্তার ধানবান্ধী মহল্লার সাবেক কমিশনার ‘নাসির-টিক্কা’ হত্যা মামলার প্রধান আসামি। গত ৮ মার্চ হাসেম ও সাত্তারসহ অন্যরা সদর উপজেলার বেলুটিয়ার চর বিসিক শিল্প পার্ক এলাকায় বালি ভরাটের সময় (পাউবোর) সরকারি কাজে বাধা দিয়ে ঠিকাদার ইউসুফ আলীর কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে হাসেম ও সাত্তার বাহিনীর লোকজন বালু ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেয়। এসময় তারা ড্রেজারের মেশিনের ৩ লাখ টাকার ডিজেল ছিনিয়ে নেয়। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্যানা হাসেমকে গ্রেফতার করা হলেও সাত্তারসহ অন্যরা পলাতক।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই আবু জাফর নয়ন বলেন, ‘প্যানা হাসেম চাঁদাবাজির মামলায় পুলিশের কাছে ধরা পড়েছে। সাত্তারসহ বাকিদের পুলিশ খুঁজছে।’

সাবেক পৌর কমিশনার ‘প্যানা হাসেম’ এর আগে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। দ্বিতীয় দফা কাউন্সিলর হতে না পেরে সে বেসরকারি বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছে। পরবর্তী সময়ে সে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে। এরপর সে বিভিন্ন কৌশলে ক্ষমতাবান হয়ে ওঠে এবং যমুনা নদীতে ও চরে অবৈধ বালু ব্যবসা করে রাতারাতি বিত্তশালী হয়।

এদিকে, শনিবার দুপুরে শহরের বেসরকারি আভিসিনা হাসপাতাল থেকে আদালতে যাওয়ার সময় হাসেম গণমাধ্যমকর্মীদের বলে, ‘বিশেষ কারণে আজ আমি এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হয়েছি। আজ আমি নিঃস্ব।’