বাস মালিকদের দ্বন্দ্বেই হত্যা করা হয় বিএনপি নেতা শাহীনকে

 আসামি পায়েল ও রাসেলবগুড়া জেলার বাস মালিকদের দ্বন্দ্বেই পরিকল্পিতভাবে বিএনপি নেতা মাহবুব আলম শাহীনকে খুন করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরই মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আটক রাসেল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ৫ দিনের রিমান্ডের চতুর্থদিন রবিবার (২১ এপ্রিল) বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিল্লাল হুসাইন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে এজাহারভুক্ত আসামি পায়েল শেখ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

পুলিশ জানিয়েছে, এরা দু’জনই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার নাম বরেছে। তবে তদন্ত কর্মকর্তা এখনই তা প্রকাশ করতে রাজি নন। মূলত বাস মালিকদের দ্বন্দ্বেই তাকে হত্যা করা হয়।

১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের নিশিন্দারা উপশহর বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তরা সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং পরিবহন ব্যবসায়ী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শাহীনকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। ১৬ এপ্রিল বিকালে নিহতের স্ত্রী আকতারা জাহান শিল্পী সদর থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ১৭ এপ্রিল ভোরে শহরের নিশিন্দারার বাড়ি থেকে রাসেলকে গ্রেফতার ও হত্যার সময় ব্যবহৃত একটি পালসার মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গাবতলী উপজেলার কাগইল ইউনিয়নের আমলিচুকাই গ্রামে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে পায়েল শেখকে গ্রেফতার করা হয়। ১৮ এপ্রিল বিকালে রাসেল ও পায়েলকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিল্লাহ হুসাইনের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে পায়েল ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। আর রাসেলকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

তদন্তকারী কর্মকর্তা উপশহর ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আম্বার হোসেন জানান, রিমান্ডের চতুর্থদিন রবিবার বিকালে রাসেল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে তাকে হাজতে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের কারণ ও জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। শিগগিরই তাদের আইনের আওয়াত আনা হবে।

শাহীন হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সন্দেহের তালিকায় থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী রাফিদ আনাম স্বর্গ (২৫) ১৮ এপ্রিল সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের সময় মারা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে দাবি করছেন, বিএনপি নেতা শাহীন হত্যাকাণ্ডের পরপরই পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে আরও কয়েকজনকে আটক করেছে। স্বজনরা তাদের সন্ধান পাচ্ছেন না। তবে পুলিশ বলছে, তারা নতুন করে আর কাউকে গ্রেফতার করেনি।