বগুড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিডি’র চাল আত্মসাতের অভিযোগ

বগুড়াবগুড়ার সারিয়াকান্দির কামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেদাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভালনারেবল গ্রুপ ডেভলপমেন্ট (ভিজিডি) কার্ডধারীদের দুই মাসের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ওই ইউনিয়ন সদস্য ফরিদ উদ্দিন সম্প্রতি সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, চলতি বছর ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় ওই ইউনিয়নের উপকারভোগী মহিলাদের জন্য ২৬৫টি ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ করা হয়। ওই কার্ডের (কার্ড প্রতি ৩০ কেজি চাল) বিপরীতে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের জন্য বরাদ্দ চাল ডিও’র মাধ্যমে গুদাম থেকে উত্তোলন করা হয়। কিন্তু জানুয়ারি ও এপ্রিল মাসের চাল উপকারভোগী ২৬৫ জন মহিলাদের মধ্যে বিতরণ না করে আত্মসাৎ করা হয়।

উপকারভোগী মহিলা ওয়ালেদা বেগম (কার্ড নং-১৬১), রিনা খাতুন (কার্ড নং-২২১), দুলেরা বেগম (কার্ড নং-১৯৩), ছালেহা বেগম (কার্ড নং-২৪১), রুকসানা বেগম (কার্ড নং-১৯৪), আলেফা বেগম (কার্ড নং-২১৯), জেসমিন (কার্ড নং-২৩৬), হাসনা বেগম (কার্ড নং-১৪৫) ও লাইলি খাতুন (কার্ড নং-২৪৩) অভিযোগ করেন, তারা জানুয়ারি ও এপ্রিল মাসের তাদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল পাননি। ভিজিডি কার্ডে দেখা গেছে, জানুয়ারি ও এপ্রিল মাসের ছক ফাঁকা রয়েছে। সেখানে উপকারভোগীর টিপসই ও ট্যাগ অফিসারের স্বাক্ষর নেই। এ ব্যাপারে ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফরিদ উদ্দিন সম্প্রতি সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে কামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান হেদাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কোনও চাল আত্মসাৎ করিনি। আমার বিরুদ্ধে ইউপি সদস্য ফরিদ উদ্দিন যে অভিযোগ দাখিল করেছেন তা মিথ্যা। দু’জন ইউপি সদস্য ছাড়া সবাই আমার পক্ষে আছে।’

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজনীন আক্তার বলেন, ‘চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত হলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ বলেন, ‘কামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ পেয়েছি। তবে ১০ জন সদস্য চেয়ারম্যানকে নির্দোষ দাবি করেছেন। এরপরও তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’