মৃত্যুর কাছে হার মানলেন পাবনার অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ

01

পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে হার মানলেন পাবনার আমিনপুরের অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ শজি খাতুন (৩২)। মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
আমিনপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম মঈনুদ্দিন এ তথ্য জানান। নিহত শজি খাতুন বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার ত্রিমহোনী তালিমনগর গ্রামের ছুরমান মণ্ডলের স্ত্রী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ছুরমান মণ্ডল কয়েক বছর ধরে মালয়েশিয়া থাকেন। সেখান থেকে তিনি প্রতিমাসে তার বোন সামেলা খাতুনের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠান। ননদ সামেলা খাতুন প্রতিমাসে তিন হাজার টাকা করে দেন তার ভাবী শজি খাতুনকে। কিন্তু অল্প টাকায় সংসার চালানো সম্ভব না হওয়ায় শাশুড়ি-ননদ, ভাসুর ও জায়ের সঙ্গে কলহ দেখা দেয় শজি খাতুনের।
এ নিয়ে ৯ মে ভোরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শাশুড়ি, ননদ ও ভাসুরের বউ মিলে শজি খাতুনের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
শজি খাতুনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক।
খবর পেয়ে ওইদিন সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ননদ সামেলা খাতুনকে আটক করে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বাবা ফজিবর রহমান বাদী হয়ে ছয় জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
গৃহবধূর মৃত্যুর কারণে মামলাটিতে একটি ধারা যুক্ত হয়ে হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম হোসেন।