স্ত্রী নিয়ে বিরোধ, বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধু খুন




বন্ধুর ছুরিকাঘাতে নিহত বাদলবগুড়ার সান্তাহারে দুই বন্ধু পরস্পরের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া এবং এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝগড়ার জেরে এক বন্ধুর ছুরিকাঘাতে অন্য বন্ধু নিহত হয়েছেন। আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারের পশ্চিম লোকো কলোনি এলাকায়  এ ঘটনা ঘটে। আদমদীঘি থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সান্তাহারের পশ্চিম লোকো কলোনি এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে বাদল ও পার্শ্ববর্তী নওগাঁ সদরের কালিতলার আফতাব আলীর ছেলে রেজাউল করিম প্রায় দু’বছর আগে মাদক, ছিনতাইসহ বিভিন্ন মামলায় বগুড়া জেলে ছিলেন। তখন তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরও তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব অটুট থাকে। তারা একে অন্যের বাড়িতে যাতায়াত করতেন।

এক পর্যায়ে বাদলের সঙ্গে রেজাউলের স্ত্রী ফাতেমা বেগমের এবং রেজাউলের সঙ্গে বাদলের স্ত্রী নার্গিসের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।  তারা দু’জনই দুই সন্তানের মা। রেজাউল এক বছর আগে বাদলের স্ত্রী নার্গিসকে নিয়ে পালিয়ে যান এবং বিয়ে করেন। অন্যদিকে বাদল ছয় মাস আগে রেজাউলের সন্তান সম্ভবা স্ত্রী ফাতেমাকে নিয়ে পালিয়ে যান।

তবে বাদলের দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতেমা গোপনে তার প্রথম স্বামী রেজাউলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আসছিলেন। গত বুধবার (১৫ মে) দুপুরে রেজাউল তার সন্তানকে দেখতে বাদলের বাড়িতে যান। এতে বাদল ক্ষুব্ধ হন এবং রেজাউলের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। পরে রেজাউল তার বন্ধু বাদলকে হুমকি দিয়ে চলে যান। রাত ৮টার দিকে রেজাউল ফের বাদলের বাড়িতে গিয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।

বাদলের বাবা শহিদুল ইসলাম জানান, প্রথমে বাদলকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। রাত ১২টার দিকে শজিমেকে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আদমদীঘি থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, ফেরিওয়ালা বাদল ও রেজাউল দু’জনই মাদক ব্যবসা, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বাদলের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বাদলের বাবা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে রেজাউলসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।