গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ছামজাহার (৩৮), মমতাজ (৪৫), আলাল শেখ (৪৪), মুকুল শেখ (৩০), আনিছ (২৩), আমজাদ (২৮), আনোয়ার (৩৪), করতজামান (৩২), আশরাফ (৩৩), সিদ্দিক (২৬), শাহাদত (২০), আশাদুল (৩০), নিজাম (১৯), উকিল (১৯), অবিজল (১৫) ও হাবেজ (২৫)।
অভিযোগে জানা গেছে, সারিয়াকান্দি উপজেলার পাকেরদহ গুচ্ছগ্রামের পুকুরে মাছ অবমুক্ত করা নিয়ে ওই এলাকার সানজাহার শেখ ও খৈমুদ্দিনের মধ্যে বিরোধ হয়। এ ঘটনায় খৈমুদ্দিন থানায় সানজাহার শেখ ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। এ অভিযোগের তদন্ত করতে বুধবার দুপুরে এএসআই মিজানুর রহমান, এএসআই নয়ন কুমার, কনস্টেবল নজরুল ইসলাম ও কনস্টেবল মামুন মিয়া পাকেরদহ গ্রামে যান। তারা বিবাদী পক্ষে সৈয়দজ্জামান নামে একজনকে আটক করেন। তাকে নিয়ে থানায় আসার পথে কটাপুর বাজারের কাছে তার লোকজন পুলিশের ওপর চড়াও হন। তারা পুলিশকে মারধর করে সৈয়দজ্জামানকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
মারধরে উল্লিখিত চার পুলিশ ও সানজাহার আহত হন। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং সানজাহার শেখকে গ্রেফতার করে। আহত পুলিশরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া সানজাহারকে পুলিশি প্রহরায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ১৬ আসামির বিরুদ্ধে মামলা করে। বুধবার রাতেই গ্রামে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
সারিয়াকান্দি থানার ওসি আল-আমিন জানান, গ্রেফতার আসামিদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ছিনিয়ে নেওয়া আসামি সৈয়দজ্জামানকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।