মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাক্ষ্য না দিতে আ. লীগের এক নেতাকে আরেক নেতার হুমকি!

গোলাম হোসেন ও জাহিদুল বারীমানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি বিএনপি নেতা আবদুল মোমিন তালুকদার খোকার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য না দিতে সান্তাহার পৌর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক গোলাম হোসেনকে দলের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল বারী হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে গোলাম হোসেন রবিবার (২১ জুলাই) আদমদীঘি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জাহিদুল।

গোলাম হোসেন জিডিতে উল্লেখ করেছেন, বগুড়া-৩ আসনে বিএনপির সাবেক এমপি আবদুল মোমিন তালুকদার খোকা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি। এ মামলার (আইসিটি-বিডি,মামলা নং-০৯,২০১৮) তিনি অন্যতম সাক্ষী। ৬ জুলাই সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় সান্তাহার পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল তাকে বলেন, ‘ওই মামলায় সাক্ষী দিয়ে কী হবে? তোমার জীবনের ভয় নেই? বিএনপি ক্ষমতায় এলে খোকা তোমাকে মেরে ফেলবে। তার চেয়ে টাকা দিচ্ছি সারাজীবন বসে খেতে পারবে।’ এছাড়া অপর সাক্ষী আবুল কালাম সরদারকেও সাক্ষ্য না দিতে বলেন। তাকেও (কালাম) দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। হুমকির বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিকভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অবহিত করেন। হুমকি সত্ত্বেও তারা ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

১৪ জুলাই জাহিদুল বারী তাকে সাক্ষ্য না দেওয়ার জন্য আবারও হুমকি দেন। তিনি বলেন, ‘তোকে দেখে নেবো, কেমন করে আওয়ামী লীগ করিস। মনে রাখিস জীবন বাঁচাতে পারবি না।’ এ হুমকিতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।

তিনি বিষয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিনিয়র এএসপি জেডএম আলতাফুর রহমান এবং সরকার পক্ষের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ সীমনকে অবহিত করেন। তাদের পরামর্শে ২১ জুলাই জিডি করেন।

আদমদীঘি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবদুর রাজ্জাক জানান, জিডি পাওয়ার পর তদন্ত চলছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে জাহিদুল বারী জানান, তিনি আগামীতে আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও সান্তাহার পৌরসভায় মেয়র পদে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তাই আওয়ামী লীগের একটি অংশ হিংসার বশবর্তী হয়ে গোলাম হোসেনকে দিয়ে এসব মিথ্যাচার করছেন।

হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই ষড়যন্ত্র চলছে।