১৯৭৪ সালে উত্তর গোসাইবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১৭ সালে স্কুলটি জাতীয়করণ করে। বর্তমানে স্কুলে পাঁচজন শিক্ষক ও ১৪০ জন শিক্ষার্থী আছেন।
স্কুলের খেলার মাঠ থাকলেও তা অনেক নিচু। ফলে বন্যার সময় পানি ঢুকলে তা সহজে শুকায় না। এজন্য প্রায় ৯ মাস মাঠে পানি থাকে। অবশিষ্ট তিন মাস মাঠ স্যাঁতস্যাঁতে থাকে। ফলে ওই মাঠে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা ও সমাবেশ করতে পারে না। সম্প্রতি বন্যার কারণে প্রায় একমাস স্কুল বন্ধ ছিল। মাইকিং করে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আনা হয়েছে।
ছাত্রছাত্রীদের বিনোদনের জন্য মাঠে একটি দোলনা বসানোর কথা ছিল। কিন্তু মাঠে পানি থাকায় তা পার্শ্ববর্তী পুকুরপাড়ে বসানো হয়েছে। এলাকাবাসীরা সেখানে গবাদিপশু রাখায় শিশুরা দোল খেতে যেতে পারে না।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র শাফিউল ইসলাম জানায়, মাঠে পানি থাকায় তারা খেলাধুলা করতে পারে না। স্কুলের বাইরে দোলনা বসানো হলেও সেখানে দোল খাওয়ার পরিবেশ নেই।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম জানান, বছরের বেশিরভাগ সময় মাঠে পানি থাকে। তাই শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারে না।
প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা ইয়াসমিন জানান, মাঠে মাটি ভরাটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌসি আরা জানান, ইতোমধ্যেই ওই বিদ্যালয়ের সংস্কারের জন্য দেড় লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে। তখন সমস্যাগুলোর সমাধান হয়ে যাবে।