বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন নাম ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি কখনও রেজাউল করিম বাবলু, কখনও শওকত আলী বাবলু, কখনও শওকত আলী গোলবাগী বাবলু, আবার কখনও রেজাউল করিম গোলবাগী ওরফে শওকত আলী গোলবাগী বাবলু নাম ধারণ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে বাবলু দাবি করেন, টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করতে যাওয়ার জন্য ধনী বন্ধুরা তাকে গাড়িটি কিনে দেন, এমনকি তারা গাড়িটির রেজিস্ট্রেশনও করে দিয়েছেন। এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় ইটভাটার মালিকদের ব্যবসায় সুবিধা দেওয়ার কথা বলে বাবলু এমপি ওই গাড়িটি ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, ২০০৭ সালে নিজের প্রতিষ্ঠিত কারিগরি বিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ঘুষ নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে এক ব্যক্তি মামলা করেছিলেন। তবে এমপি বাবলু নির্বাচনি হলফনামায় ৩ (ক) ও ৩ (খ)-তে তার বিরুদ্ধে মামলা থাকার তথ্য গোপন করেন।
শিক্ষক আবু হায়াত বলেন, ‘নিয়োগ দিতে না পারলেও এমপি বাবলু আজও সেই টাকা ফেরত দেননি। এ ব্যাপারে তিনি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার (বাবলুর) বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য শাজাহানপুর থানায় আসে। বর্তমানে মামলাটি বগুড়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
আবু হায়াত আরও জানান, এমপি বাবলু নিজের স্বার্থে একেক স্থানে একেক নাম ব্যবহার করেন। কারিগরি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় সভাপতি হিসেবে তার নাম ছিল ‘শওকত আলী গোলবাগী বাবলু, এমপি হওয়ার পর তার নাম দেখা যাচ্ছে ‘রেজাউল করিম বাবলু’।
অভিযোগের বিষয়ে রেজাউল করিম বাবলু ওরফে শওকত আলী গোলবাগী বাবলু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তার সার্টিফিকেটে নাম রেজাউল করিম বাবলু। আর ওই মামলার আসামি শওকত আলী গোলবাগী বাবলু। তাই তিনি ওই মামলার আসামি না হওয়ায় হলফনামায় তা উল্লেখ করেননি।’
বগুড়া জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহ বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী পরাজিত প্রার্থী বা অন্য কেউ আদালতের আশ্রয় নিয়ে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে তথ্য গোপনকারী হিসেবে সংসদ সদস্য পদ হারাবেন।’
সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযানের (সুপ্র) বগুড়া সম্পাদক কে জি এম ফারুক বলেন, ‘হলফনামায় তথ্য গোপন করে আইন অমান্য ও জনগণের সঙ্গে তিনি প্রতারণা করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে যে কেউ আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।’