এ প্রসঙ্গে রাকিব উদ্দিন প্রামাণিক সিজার বলেন, ‘শুক্রবার রাত নয় শনিবার ভোর থেকে আট হাজার অতিথির জন্য রান্না করা হয়েছে। অনুমতির জন্য পৌরসভা ও ডিসি অফিসে দরখাস্ত দিয়েছিলাম।’ অনুমতি পেয়েছিলেন কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।
বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান জানান, প্রতি বছরই তিন মাথা এলাকায় শ্রমিক লীগের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এবারও তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বগুড়া পৌরসভার সচিব রেজাউল করিম বলেন, ‘রাস্তা বন্ধ করে কোনও অনুষ্ঠান করতে কাউকে অনুমতি দেওয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই। আমরা অনুমতি দেইনি।’
এলাকাবাসী জানান, শনিবার জাতীয় শ্রমিক লীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল। এ উপলক্ষে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক থেকে বগুড়া শহরে প্রবেশের মুখে তিনমাথা এলাকার বিশাল অংশ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বন্ধ রাখা হয়। রাস্তায় তোরণ নির্মাণ করে ডিভাইডারের মাঝখানে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। আট হাজার মানুষের জন্য ৮৩টি বড় পাতিলে রান্নাবান্না করা হয়। শনিবার দুপুর পর্যন্ত রান্না শেষে রাস্তার ওপরই খাবার পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আসা অতিথিরা জানান, সাদা ভাত, গরুর মাংস ও আলুর দম খাওয়ানো হয়। অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক মাশরাফি হিরোসহ শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা যোগ দেন।
সড়কের ওপর মেজবানের আয়োজন ঠিক হলো কিনা জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক মাশরাফি হিরো জানান, এটা আয়োজকদের বিষয়। আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না।
এই প্রসঙ্গে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম বলেন, ‘জাতীয় যুব শ্রমিক লীগের বগুড়া জেলা সভাপতি রাকিব উদ্দিন প্রামাণিক সিজার দুই বছর আগে আমাদের সংগঠনে ছিলেন। পদ-পদবি না পাওয়ায় অন্য দলে চলে গেছেন।’