বিএনপি নেতার দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে

ভাঙচুর করা দোকানবগুড়ার সোনাতলার বালুয়াহাট এলাকায় শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাতে দুর্বৃত্তরা বিএনপির সাবেক এমপি হাবিবুর রহমানের ছেলে একেএম শাকিল রেজা বাবলার পাঁচটি দোকানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। বাবলার দাবি, ১০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে বালুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিনের নির্দেশে তার লোকজন এ হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা।

বাবলার দাবি, হামলায় অন্তত ১৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। কয়েকদিন আগেও তার দোকানগুলোয় ভাঙচুরের চেষ্টা করা হয়েছিল। সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুর আলম ও পুলিশের হস্তক্ষেপে ব্যর্থ হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রুহুল আমিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন। তার দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় রুহুল আমিনসহ ৮ জনের নামে ও অজ্ঞাত ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সোনাতলা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বাবলার বালুয়াহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ১০টি দোকান রয়েছে। রুহুল আমিন সম্প্রতি বাবলার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় দোকানগুলো হাটের অন্তর্ভুক্ত করার হুমকি দেন। চাঁদা না দেওয়ায় শুক্রবার রাতে রুহুল আমিনের নির্দেশে তার লোকজন পাঁচটি দোকান ভাঙচুর ও দু’টি দোকান লুটপাট করে।

এ বিষয়ে রুহুল আমিন জানান,শুক্রবার তিনি বগুড়ায় ছিলেন। তাই এ হামলার সঙ্গে তিনি বা তার কেউ জড়িত ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

সোনাতলা থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মাসউদ চৌধুরী জানান, ওই দোকানের মধ্যে রাস্তার অংশ রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দোকানের মালিক বাবলাকে ৫ দিনের মধ্যে দোকান অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে। তবে শুক্রবার রাতে কে বা কারা দোকানগুলো ভাঙচুর করেছে সে ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই। মামলা বা অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।