রাণীনগরে পাটের বাজার ভালো, স্বস্তিতে কৃষক

পাটের আঁশ ছাড়াচ্ছেন কৃষকরানওগাঁর রাণীনগরে দিন দিন পাট চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বারের চেয়ে চলতি মৌসুমে ৫ হেক্টর বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে। দাম ভালো পাওয়ায় স্বস্তিতে আছেন চাষিরা। গত কয়েক বছরে পাটের দাম না পাওয়ায় পাট চাষে কৃষকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলেন। বর্তমানে পাটের বাজার ভালো হওয়ায় কৃষকদের কাছে দিন দিন পাট চাষের কদর বাড়ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ৩৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ৫ হেক্টর বেশি। মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিপাত কম থাকায় অনেক স্থানে চাষ কিছুটা দেরিতে শুরু হলেও ফলন ভালো হয়েছে। ভালো ফলন হওয়া ও দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকেরা খুশি।

উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে,  বর্তমানে ভালো মানের পাট প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকায়। নিম্নমানের পাটের মূল্য ১৫০০ টাকা।

উপজেলার সিম্বা গ্রামের কৃষক সুলতান আলম বলেন, ‘এবার ৪ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম। পাটও ভালো হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় দাম বেশি হওয়ায় লোকসানে পড়তে হচ্ছে না। আর বর্তমানে আমাদের কাছে পাটের আঁশের চেয়ে বেশি মূল্যবান হচ্ছে পাটকাঠি। কারণ বাজারে পাটকাঠির চাহিদা সারা বছর। দামও ভালো পাওয়া যায়। তাই আমরা পাটকাঠির প্রতিই বেশি যত্নশীল।’

করজগ্রামের কৃষক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি না হওয়ায় পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। তবে পড়ে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ফলনও ভালো হয়েছে। পাট জাগের পর্যাপ্ত জলাশয় থাকা ও বাজারে পাটের দাম ভালো থাকায় আমি খুশি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কৃষি অফিস মাঠ পর্যায়ে সব সময় কাজ করছেন। কৃষকদের কাছে বিনামূল্যে পাটের বীজসহ অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করা থেকে পাটের আঁশ ছাড়া পর্যন্ত আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে এসেছি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পাটের বাজার ভালো থাকায় কৃষকরা খুশি। পাটের পাশাপাশি পাটকাঠির কদরও কৃষকদের কাছে অনেক বেশি। পাটের এই বাজার বর্তমান থাকলে আগামীতে পাট চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে কারণ কৃষকরা ধান চাষে বারবার লোকসান দিয়ে আসছে। সেইসঙ্গে সোনালী আঁশের সুদিন আবারও ফিরে আসবে।