এদিকে, বকুল গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে থাকলেও তার সহযোগী রফিকুল তাকে উদ্ধারে তৎপর না হয়ে কোনও এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইলফোনে কথা বলছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার এমন সন্দেহজনক আচরণের এক প্রত্যক্ষদর্শীকে পেয়েছে পুলিশ।
ডিবি ও সদর থানা পুলিশ যৌথভাবে এ খুনের ঘটনা তদন্ত করছে। তদন্তের স্বার্থে প্রত্যক্ষদর্শীর নাম জানাতে রাজি হয়নি পুলিশ।
সামাজিক, পেশাগত ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রতিবেশী রফিকুলের ইন্ধনে বকুলকে খুন করা হয়েছে কিনা বা নেপথ্যে অন্য কোনও স্বার্থ আছে কিনা, এসব খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, বকুলের একান্ত সহযোগী ও প্রতিবেশী রফিকুল ইসলামকে সদর থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। খুনের ঘটনার পর মোটরসাইকেলের পাশে দাঁড়িয়ে রফিকুলকে ফোনে কথা বলতে দেখা প্রত্যক্ষদর্শীও খুঁজে পেয়েছে পুলিশ।
ডিবির ওসি মো. ওয়াহেদুজ্জামান জানান, বকুলের সহযোগী রফিকুল ধরা পড়ায় খুনের মোটিভ উন্মোচন সহজ হতে পারে।
সদর থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ বলেন, পূর্ব শত্রুতার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) ফোরকান শিকদারসহ ডিবি ও পিবিআই গোয়েন্দা পুলিশ ছাড়াও সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ইউপি সদস্য বকুল সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের দত্তবাড়ি গ্রামের হযরত মুন্সীর ছেলে। রাতে সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর আঞ্চলিক সড়কের পাশে ভেওয়াপাড়ায় তার ওপর গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ বকুলকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।