১ বছরেও গ্রেফতার হয়নি মিশু হত্যার প্রধান আসামি

নিহত মিশু

পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের রসায়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এস এম মিশকাত আহমেদ মিশু হত্যার ১ বছরেও প্রধান আসামি ধরা না পরায় অসন্দোষ প্রকাশ করেছে তার পরিবার। গত বছরের ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় মিশুককে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে উপুর্যপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।

মিশু পাবনা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম মোস্তফার ছেলে।

এক বছরেও মামলার প্রধান গ্রেফতার না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে মিশুর বাবা-মা বলেন,‘মিশুকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, মাহমুদুল হাসান সোহাগ (২২), ইয়াছিন আলী রাহাত (১৬), সাদ্দাম হোসেন (২৭), আশরাফুল আলম ওরফে শৈবাল (১৭), হৃদয় আহম্মেদ (২৫)।

নিহত মিশু’র বাবা সৈয়দ গোলাম মোস্তফা জানান, অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। পুলিশ তদন্ত করে হত্যার সঙ্গে ৬ জনের সংশ্লিষ্টতা পায়। এই মামলার অন্যতম আসামি ইয়াছিন আলী রাহাতকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে রাহাত হত্যার কথা স্বীকার করেছে। জবানবন্দিতে সে বলেছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের এক প্রভাবশালী নেতা ও তার সহযোগী তসলিম হোসেন সেতু এ হত্যার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে আদালতে দাখিল করা পুলিশের চার্জশিট তাদের নাম নেই। আদালতে পুলিশের দাখিল করা ওই চার্জশিটের ওপর আমরা নারাজি দিয়েছি। আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পাবনার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দিয়েছেন।  

নিহত মিশকাতের মা লুৎফা শিরিন লুনা বলেন, ‘মিশু আর ফিরবে না। তবে আমার মিশুকে যারা মেরেছে। সেই খুনিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক এটাই আমার চাওয়া। আসামিদের যেন মামলা থেকে বাদ দেওয়া না হয়। পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমার এটাই দাবি।’ 

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাবনা পিবিআই কার্যালয়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সবুজ বলেন, ‘মামলার অগ্রগতি সন্তোষজনক। মামলার সব টেকনিক্যাল বিষয়, পূর্ববর্তী তদন্ত প্রতিবেদন ও জবানবন্দিসহ সমস্ত বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েই তদন্ত কার্যক্রম চলছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সনাক্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘মামলার অন্যতম এক আসামি পলাতক রয়েছে। তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি যত বড় ক্ষমতাধরই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’