ধর্ষণের পর হত্যা, দুই জনের মৃত্যুদণ্ড

 

পাবনাপাবনায় গার্মেন্টসকর্মী কাকলীকে (৩০) ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড ও  প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ওয়ালিউর রহমান এই রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলো- পাবনা জেলার সুজানগর থানার বনগ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে আজিম উদ্দিন (৪৪) ও তার বন্ধু ঢাকা নবীনগরের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে ইকবাল হোসেন (৪৫)।

কাকলী খাতুন রাজবাড়ী জেলার কালুখালী গ্রামের জলিল সরদারের মেয়ে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার রুবেল হোসেনের কাছে চলে যান রাজবাড়ির কালুখালি উপজেলার কাকলী খাতুন। পরে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে রুবেলের বন্ধু ইকবাল ও আজিম  তাকে নিয়ে যায়।  ২০১২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর এই ঘটনা ঘটে। বাড়িতে ফিরিয়ে না দিয়ে রাতে সুজানগর উপজেলার রামজীবনপুর মাঠের একটি নার্সারিতে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। পরে পুলিশ মাঠ থেকে কাকলীর মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মামলার পর জড়িত সন্দেহে মোবাইলফোনের কল ট্র্যাকিং করে চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদেরমধ্যে দুই জন আদালতে  জবানবন্দি দেয়। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ১৬ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী এসআই  রওশন। মামলায় ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। ইকবাল ও আজিমকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া রুবেল ও ইয়াসিন নামের দুই জনকে খালাস দেওয়া হয়।