যুবলীগ সদস্যকে রগ কেটে হত্যার অভিযোগ বহিষ্কৃত নেতার বিরুদ্ধে

 

বগুড়াবগুড়া ধুনটে কুপিয়ে ও হাত-পায়ের রগ কেটে উপজেলা যুবলীগ সদস্য পল্লি চিকিৎসক সবুজ উদ্দিন সবুরকে (৩৬) হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে নিমগাছী ইউনিয়নের পশ্চিম নান্দিয়ারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জমি নিয়ে বিরোধে বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা কামরুল ইসলাম (৩৮) ও তার লোকজন এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন এ তথ্য জানান।

স্থানীয়রা জানান, পল্লি চিকিৎসক ও ধুনট উপজেলা যুবলীগের সদস্য সবুজ উদ্দিন সবুর নান্দিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার সঙ্গে জমি নিয়ে একই গ্রামের আলীর ছেলে ও নিমগাছী ইউনিয়ন যুবলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলামের বিরোধ ছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে।

বুধবার দুপুর ২টার দিকে কামরুল ইসলাম মোবাইলে জমি নিয়ে আপসের কথা বলে সবুরকে পশ্চিম নান্দিয়ারপাড়ার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে কামরুল, একই গ্রামের সবুজ মিয়া (৩৪), সাগর মিয়া (১৮) ও বিপুল হোসেনসহ আরও ৪-৫ জন অতর্কিতভাবে সবুরের ওপর হামলা চালায়। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সবুরকে কুপিয়ে ও হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করে লাশ ফেলে যায়। খবর পেয়ে ধুনট থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

ধুনট উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শেখ মতিউর রহমান বলেন, ‘প্রায় ১০ মাস আগে ইয়াবাসহ গ্রেফতার হওয়ায় নিমগাছী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে কামরুলকে বহিষ্কার করা হয়।’ নিহত উপজেলা যুবলীগের সদস্য সবুজ উদ্দিন সবুরের খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।

ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’