চুরির ভয়ে রাত জেগে পেঁয়াজ ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন কৃষক

রাত জেগে পেঁয়াজ ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন কৃষকক্ষেত থেকে পেঁয়াজ চুরির আশঙ্কায় রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় কৃষকরা। বিশেষ করে চরাঞ্চলের পেঁয়াজ ক্ষেতের পাশে ঝুপড়ি ঘর তুলে সেখানে রাতে থাকছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২ ডিসেম্বর রাতে সোনাতলার জোড়গাছা ইউনিয়নের মধ্য দীঘরকান্দি গ্রামের কৃষক ইয়াসিন আলীর দুই শতক জমি থেকে পেঁয়াজ চুরি হয়। ৪ ডিসেম্বর রাতে খাবুলিয়া, জন্তিয়ারপাড়া ও আউচারপাড়া চরের ৬ কৃষকের জমি থেকে পেঁয়াজ চুরি হয়। তাই বাধ্য হয়ে সরলিয়া, খাবুলিয়া, মহব্বতেরপাড়া, আউচারপাড়া, ভিকনেরপাড়া, জন্তিয়ারপাড়া, খাটিয়ামারী, শিমুলতাইড়, দীঘলকান্দি, নওদাবগা, কর্পূর, মূলবাড়ি, ফাজিলপুর, মহিচরণ, বালুয়াহাট, মধুপুর, হরিখালী, পাকুল্লা, চারালকান্দি এলাকার কৃষকরা রাত জেগে ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন।

নওদাবগা গ্রামের কৃষক সোনাউল্লাহ জানান, এবার ২ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন তিনি। বিভিন্ন এলাকায় পেঁয়াজ চুরির ঘটনায় তিনি চিন্তিত। চুরি থেকে বাঁচতে জমিতে পাহারার ব্যবস্থা করেছেন।

খাবুলিয়া গ্রামের শামসুল হক জানান, ৫ বিঘা জমিতে তিনি পেঁয়াজ চাষ করেছেন। প্রতি রাতেই জমি থেকে পেঁয়াজ চুরি হচ্ছে। তিনিও জমিতে পাহারা বসিয়েছেন।

এ বিষয়ে সোনাতলা থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মাছুউদ চৌধুরী জানান, পেঁয়াজ চুরির কথা শুনলেও শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকাল পর্যন্ত কোনও কৃষক অভিযোগ দেননি।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৭০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। অক্টোবর থেকে বারী ১-৫, লালতীর, তাহেরপুরী, ফরিদপুরীসহ বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ চাষাবাদ শুরু হয়। এরই মধ্যে বাজারে স্বল্প পরিমাণ পেঁয়াজ উঠেছে।

সোনাতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে এসব পেঁয়াজ বাজারজাত করা সম্ভব হবে।

প্রসঙ্গত, সোনাতলার হাট-বাজারে পুরনো পেঁয়াজ ২৫০ টাকা ও নতুন ১৫০- ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।