নিহত রবিউল আমনুরা এলাকার মৃত মন্টু চৌধুরীর ছেলে।
ওসি বলেন, ‘রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে।’
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দুই সহযোগীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে কেন্দুল এলাকায় যাচ্ছিলেন রবিউল। গাড়ি আমনুরা রেলক্রসিং এলাকায় আসলে আনুমানিক ১৫ জন রবিউলের ওপর হামলা করে। তারা শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে রবিউলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় রবিউলের মোটরসাইকেলে থাকা দুই সহযোগী শাহিন ও হান্নান আহত হন।
রবিউলের সহযোগী শাহিন জানান, একটি পুকুর কেনা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটছে। প্রায় ৪ বছর আগে রবিউল আনসার মোড়ল এর কাছ থেকে একটি পুকুর কেনে। কিছুদিন আগে আরেকজনের কাছে আনসার মোড়েল সেই পুকুরটি পুনরায় বিক্রি করেন। তারা পুকুরটির দখল নেয়। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ বসে।
এঘটনায় নিহতের ছেলে ফয়সাল আলী রিয়াদ বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় আনসার মোড়লসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।