করলায় কৃষকের মুখে মিষ্টি হাসি

করলা ক্ষেত২-৩ বছর আগে সাপাহার উপজেলার চাষিরা করলা চাষ শুরু করেন। আম বাগানে গাছের ফাঁকে ফাঁকে সাথী ফসল হিসেবে করলা চাষ করতেন। প্রথম প্রথম স্থানীয় হাট-বাজারে এ ফসল বিক্রি করতেন তারা। পরে করলা চাষের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা আসতে শুরু করেন সাপাহারে। ফলে করলা চাষ করে লাভবান হন চাষিরা। তিতা করলাই হাসি ফুটিয়েছে কৃষকের মুখে।

সাপাহার-তিলনা পাকা সড়কের বাহাপুর মোড়ে প্রতিদিন ৩-৪ ঘণ্টার জন্য বসে অস্থায়ী বাজার। ভোর হলেই বিভিন্ন এলাকার করলা চাষিরা করলা নিয়ে বাজারে আসেন। ক্রেতারা দরদাম করে করলা কিনে ট্রাক নিয়ে রওনা হন গন্তব্যে। বর্তমানে প্রতিমণ করলা ২ হাজার টাকা থেকে ২২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকার কাওরান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আক্কাজ আলী জানান, সাপাহারের করলার গুণগত মান ভালো। তাই এখান থেকে করলা কিনে লাভ ভালো হয়। তাই তিনি এখান থেকে করলা কিনে ঢাকার বাজারে সরবরাহ করছেন।

করলা করলা চাষি সুরুজ মিয়া বলেন, অস্থায়ীভাবে উপজেলা সদরের বাইরে করলার বাজার গড়ে ওঠায় এখানকার করলা চাষিরা বেশ লাভান হচ্ছেন। অনেকেই করলা চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন। 

উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, কয়েক বছর ধরে করলা চাষ করে উপজেলায় চাষিরা নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছেন। কৃষি অফিসের পরামর্শে উপজেলার অনেকেই এখন দেশি, হাইব্রিড, সোনামুখীসহ বিভিন্ন জাতের করলা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। প্রতিদিন এখান থেকে প্রায় ১৫০ টন করলা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।