বাম্পার ফলন, ভালো মূল্য পেয়ে খুশি কৃষক

Bogura-15-01-20-Picture-01বগুড়ায় শীতকালীন সবজির মধ্যে এ মৌসুমে ফুলকপি ও বাঁধাকপির বাম্পার ফলন হয়েছে। আগাম চাষাবাদ করে প্রতি কেজি ফুলকপি ৪০ টাকা ও প্রতি পিস বাঁধাকপি ৩০-৪৫ টাকায় বিক্রি করেছেন কৃষকেরা।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালকের পক্ষে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান জানান, আগস্ট মাসে কপির চারা রোপন করা হয়। আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাবে। এবার এক হাজার হেক্টর জমিতে ফুলকপি ও ৯৫০ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপি চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়। সেখানে এক হাজার ২৫ হেক্টর ফুলকপি ও ৯৭০ হেক্টরে বাঁধাকপি চাষাবাদ হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় প্রতি হেক্টরে ফুলকপি ২৮ মেট্রিক টন ও বাঁধাকপি ৩২ টন ফলন পাওয়া যাচ্ছে। গড়ে প্রতি বিঘা ফুল ও বাঁধাকপি উৎপাদন খরচ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। কৃষক এক বিঘা জমির কপি বিক্রি করছেন ৭০-৮০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় লাভ হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। প্রতিটি কপির ওজন এক থেকে দেড় কেজি। বর্তমানে প্রতি কেজি কপি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি দরে।

বগুড়ার সর্ববৃহৎ কাঁচা শাক-সবজির বাজার শিবগঞ্জের মহাস্থান হাটে কপি বিক্রি করতে আসা আটমুলের কৃষক আবদুর রহমান জানান, প্রতি বিঘা জমিতে কপি চাষে তার ১৮-২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। গত আগস্টে কপির চারা রোপন করেন। দুই মাস পর থেকে ফলন পান। তখন এক বিঘা জমির কপি বিক্রি করেছেন সোয়া লাখ টাকায়।

বগুড়া সদরের লাহিড়িপাড়ার কৃষক মোজাম্মেল হক জানান, এ মৌসুমের শুরুতে তারা প্রতি কেজি কপি ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করেন। বর্তমানে প্রতি মণ ৯০০ থেকে হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় তারা এবার ভালো লাভ করেছেন।

মোকামতলার কৃষক রফিকুল প্রামানিক জানান, এ বছর কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকা, কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতা ও সারের দাম কম হওয়ায় তারা কপির বাম্পার ফলন পেয়েছেন। প্রতি বিঘায় গড়ে ৪ টন ফলন পেয়েছেন। বাজার দর ভালো হওয়ায় লাভবান হয়েছেন।