১৯৬১ সালে নির্মিত জয়পুরহাট চিনিকল বর্জ্য শোধনাগার ছাড়াই চিনি উৎপাদন করছে। শুরু থেকেই তারা এ কাজ করছে। চিনিকল থেকে একটি নর্দমার মাধ্যমে অপরিশোধিত বর্জ্য নিঃসৃত পানি অপসারণ করা হয়। সেই পানি খাল-বিল হয়ে মিশে তুলশীগঙ্গা নদীতে। এতে নদীর পানি কালচে হয়ে ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি দুর্গন্ধে চরম অসুবিধায় পড়েছে স্থানীয়রা।
আক্কেলপুর উপজেলার সোনামুখী গ্রামের নদী পাড়ের বাসিন্দা আমেনা বেগম বলেন, সুগার মিল চালু হওয়ার পর নদীর পানি কালো হয়ে গেছে। এজন্য আমরা নদীর পানি সংসারের কাজে ব্যবহার করতে পারি না।
এ বিষয়ে চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন আকন্দ বলেন, ‘চিনিকলের বর্জ্যে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে অথবা মাছ মরছে একথা ঠিক নয়। চিনিকলের দূষিত পানি সংরক্ষণের জন্য আমরা পৃথক ক্যানেল করেছি। বাকি যে পানি বাইরে যায়, তা দূষিত নয়।’
তিনি বলেন, ‘পোল্ট্রি, হ্যাচারি ও চালকলের বর্জ্য নিঃসৃত পানি থেকে পরিবেশ দূষণ হলেও দায়ী করা হয় শুধু চিনিকলকে। আমরা পানি শোধনাগারের অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন করেছি। মেশিনপত্র আসা মাত্র এটি চালু হবে। তখন বোঝা যাবে পরিবেশ দূষণের জন্য কারা দায়ী।’