সিরাজগঞ্জে আ. লীগ নেতা বকুল হত্যা মামলার তদন্তে অগ্রগতি নেই

বকুলসিরাজগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা বকুল হত্যা মামলার তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই। এ মামলার তদন্ত এখনও আলোর মুখ দেখেনি। গত তিন মাসে খুনের ক্লু বা রহস্য কোনোটিই উন্মোচিত হয়নি, ধরা পড়েনি খুনিরা।
আ. লীগ নেতা বকুলের খুনের ঘটনায় তার ছেলে মেহেদী হাসান সাগর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি শুরুতে সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম তদন্ত করেন। কিন্তু কয়েকদিন পরই মামলাটি সদর থানা থেকে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।
ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর হাসান বাছির ও উপ-পরিদর্শক মো. দুলাল হোসেন এর তদন্ত শুরু করেন। কিন্তু প্রায় পৌনে তিন মাসে এর তদন্তে দৃশ্যত কোনও অগ্রগতি নেই। বকুলের একান্ত সহযোগী রফিকুল ইসলামসহ ১০/১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে দফায় দফায় ডিবি কার্যালয়ে এনে দু’একজনকে কারাগারে পাঠিয়ে অধিকাংশকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। খুনের রহস্য এখনও অধরা।
ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হাসান বাছির দাবি করে বলেন, ‘ভিকটিম সরকার দলীয় নেতা এবং দলের লোকজন থেকে সঠিক তথ্য বা সহযোগিতা না পাওয়ায় খুনের মোটিভ খুঁজে পেতে একটু বিলম্ব হচ্ছে।’
তবে ডিবির ওসি মিজানুর রহমান শুক্রবার দুপুরে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তদন্তে গতি বাড়ার সুযোগ না থাকায় এ মামলাটি অন্য কোন দফতরকে হস্তান্তরের চিন্তাভাবনা চলছে।’
প্রসঙ্গত, সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর আঞ্চলিক সড়কের পিপুলবাড়িয়ায় গত ২ নভেম্বর বাগবাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি সদস্য বকুল হায়দারকে খুন করে দুর্বৃত্তরা।