বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গওসুল আজিম চৌধুরী এবং ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন এসব তথ্য জানান। তারা জানান, বগুড়ায় এই প্রথম কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। পুতুলের পরিবারের সদ্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে এবং বাড়ি লকডাউন করা হবে।
স্থানীরা জানান, শুক্রবার বিকালে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, বগুড়ার সদস্যরা জানাজা শেষে শহরের নামাজগড় আঞ্জুমান-ই-গোরস্থানে তার মরদেহ দাফন করেছেন। এ সময় তার পরিবারের সদস্য, দলীয় নেতাকর্মী ও প্রশাসনের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বগুড়ার অর্গানাইজার মিজানুর রহমান জানান, সাবেক এমপি কামরুন্নাহার পুতুল করোনাভাইরাসে মারা গেছেন। আইইডিসিআরের নির্দেশ মোতাবেক বিকালে শহরের কালীতলা এলাকায় সীমিত কয়েকজন মুসল্লি নিয়ে জানাজা করা হয়। জানাজায় বগুড়া পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র আমিনুল ফরিদ এবং কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের দায়িত্বশীলরা অংশ নেন। বেলা ৩টার পর কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের ৯ স্বেচ্ছাসেবক শহরের নামাজগড় আঞ্জুমান-ই-গোরস্থানে তার মরদেহ দাফন করেন।
আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগদানের আগে কামরুন্নাহার পুতুল রূপালী ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি তৎকালীন বগুড়া-জয়পুরহাট সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হন। তার স্বামী মরহুম মোস্তাফিজার রহমান পটল ১৯৭৩ সালে বগুড়ার গাবতলী আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।