বগুড়া শহরে ওয়ার্ড যুবলীগ সম্পাদককে কুপিয়ে হত্যা, দুই সঙ্গী আহত

নিহত ফিরোজ মিয়াবগুড়া শহরে চার নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মিয়াকে (৩০) দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ সময় তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার দুই সঙ্গী এমরান হোসেন ও মশিউর রহমান আহত হয়েছেন। তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মে) বিকালে শহরের জহুরুলনগর ব্যাংকপাড়ার একটি ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ দাবি করেছে, পূর্ব বিরোধের জের ধরে ওই এলাকার প্রতিপক্ষ আলাল ও দুলালের নেতৃত্বে এ হামলা হয়। এ নিয়ে ঈদের দিন, আগের দিন ও পরের দিন তিনটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলো।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী জানান, ফিরোজ মিয়া শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার ফজলার রহমানের ছেলে। তিনি বগুড়া শহর যুবলীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

এদিকে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে, ২০১৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রাতে জন্মদিন সেলিব্রেট করতে চকসূত্রাপুর এলাকায় মাদক কিনতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে খুন হন চকফরিদ এলাকার শাকিল আহমেদ ওরফে শাকিল ওরফে বি-ক্লাস শাকিল।  এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী যুবলীগ নেতা ফিরোজ মিয়াকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেন। গ্রেফতার হওয়ার পর ফিরোজ জামিনে ছাড়া পান। তার বিরুদ্ধে এ হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

এদিকে, স্থানীয় একটি সূত্র দাবি করেছে, মঙ্গলবার (২৬ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের জহুরুলনগর ব্যাংকপাড়ার মাহী ছাত্রাবাসে ফিরোজ, এমরান ও মশিউরসহ চারজন তাস খেলছিলেন। এ সময় একদল সন্ত্রাসী ভেতরে ঢুকে ফিরোজসহ তিনজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে যায়। স্থানীয়রা রক্তাক্ত ফিরোজ, এমরান ও মশিউরকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিছুক্ষণ পর ফিরোজ মারা যান।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে স্থানীয় প্রতিপক্ষ আলাল ও দুলালের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে। ঘটনার পরপরই এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়ে।

জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু জানান, নিহত ফিরোজ মিয়া শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পুকুর ব্যবসা নিয়ে জহুরুলনগর এলাকার আলাল ও দুলাল গ্রুপের সঙ্গে ফিরোজের বিরোধ চলছিল। শোনা যাচ্ছে ওই বিরোধের জের ধরেই এ হামলা হয়েছে।