কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বগুড়ায় সারিয়াকান্দি উপজেলায় যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রবিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় পানি ৩৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার চরাঞ্চল চালুয়াবাড়ি, কর্ণিবাড়ি, কুতুবপুর, চন্দনবাইশা, কাজলা, কামালপুর ও সদর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কোনও কোনও এলাকার বাড়িঘর, আসবাবপত্র ও গবাদি পশু পানিতে ভেসে গেছে। অনেকে তাদের বাড়িঘর ভেঙে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুঁটছেন।
চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত আলী জানান, নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে তার ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়ে ইতোমধ্যে চার শতাধিক বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বহুলাডাঙা কমিউনিটি ক্লিনিক, আাউচারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাকালিহাতা জামে মসজিদ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
শিমুলতাইড় চরের খায়ের উদ্দিন মন্ডল জানান, তার একটি গরু ও ঘর নদীতে ভেসে গেছে। ওই চরের খায়ের উদ্দিন মন্ডল ও মোজাহার মন্ডলের পরিবারের ২০ সদস্য বাড়িঘর ভেঙে নৌকায় তুলে আশ্রায়ন প্রকল্পে চলে গেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, চরাঞ্চলে কিছু জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে কোথাও কোনও ভাঙন নেই। রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় যমুনা নদীর মথুরাপাড়া পয়েন্টে পানি ৩৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।