যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর চুল কাটলো স্বামী

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাথী



জমি বিক্রি করে বাপের বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দিতে রাজি না হওয়ায় রনি সরকার নামে এক ব্যক্তি স্ত্রী সাথী খাতুনের (১৯) মাথার চুল কেটে দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। বগুড়ার নন্দীগ্রামে শনিবার (১১ জুলাই) বিকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাটলাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে সাথীকে। রবিবার (১২ জুলাই) বিকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা হয়নি।

জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলার হাটলাল গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে রনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান। প্রায় ৮ মাস আগে নাটোরের সিংড়া উপজেলার দমদমা গ্রামের সাথী খাতুনকে বিয়ে করেন তিনি।

সাথীর বড় ভাই সবুজ হোসেন জানান, বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে নগদ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিছুদিন পর রনি তার বোনকে বাপের বাড়ি থেকে জমি বিক্রি করে আরও টাকা আনতে বলে। রাজি না হওয়ায় তার বোনোর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। ৩-৪ দিন ধরে সাথী অসুস্থ। অনুরোধ করার পরও রনি তাকে ওষুধ এনে দেয়নি। খবর মেয়ে তার মা সবুরন বেওয়া যান। শনিবার বিকালে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে বললে রনি ক্ষিপ্ত হয়ে মায়ের সামনে সাথীকে মারধর করেন। বাধা দিলে মাকেও মারধর করে। এরপর সাথীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

সাথী জানান, রনি এর আগেও বিয়ে করেছিল। সে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। মাদকসেবী রনি বিয়ের পর থেকে তার ওপর নির্যাতন করতো। বাপের বাড়ি থেকে জমি বিক্রি করে টাকা এনে না দেওয়ায় তাকে মারধর পর চুল কেটে দেয়। এক কাপড়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি সিংড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নন্দীগ্রাম সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাইফুল ইসলাম গোলাপ জানান, নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ফোন বন্ধ ও বাড়িতে না থাকায় রনির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নন্দীগ্রাম থানার ওসি শওকত কবির জানান, লোকমুখে গৃহবধূকে নির্যাতন ও চুল কেটে দেওয়ার কথা শুনেছেন। তবে এখনও কেউ মামলা করেনি। মামলা হলে অভিযুক্তকে গ্রেফতার ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।