এরই মধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ, এখন চলছে প্রতিমায় রং-তুলির আঁচড়। ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা। স্বল্প পরিসরে ও আয়োজনে দুর্গা পূজা হলেও, প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন পূজা কমিটির নেতারা।
তবে এবার পূজায় থাকছে না কোনও আড়ম্বরতা। মন্দিরগুলো ঘিরে থাকছে না ব্যাপক আলোকসজ্জা, ব্যান্ড পার্টি এবং উচ্চ শব্দে মাইকের ব্যবহারও। থাকছে না অন্য বছরের মতো ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। শুধু মন্দিরের ভেতরে প্রতিমা দেখার জন্য থাকবে লাইটিং ব্যবস্থা।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক একেএম তাজকির-উজ-জামান জানান, প্রতিটি পুজামণ্ডপে সামাজিক নিরাপত্তা বজায় রেখে পূজা উদযাপনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি মন্দিরের জন্য ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান জানান, নিরাপদ ও নিরাপত্তার সঙ্গে পূজা উদযাপনে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। করোনার কারণে এবার মন্দির ভিত্তিক পুলিশ নিয়োজিত থাকবে না। তবে মন্দিরগুলোতে ক্লাস্টার ভিত্তিক পুলিশের মোবাইল টিম কাজ করবে।
জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার জানিয়েছেন, গত বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৫২টি মণ্ডপে পূজা উদযাপিত হলেও এবার করোনার কারণে এখন পর্যন্ত ১৩৬টি মণ্ডপ শারদীয় দুর্গা পূজা উদযাপনে প্রস্তুত হচ্ছে। পূজা উদযাপনে ইতোমধ্যে সরকারি চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে এবং প্রতিটি মণ্ডপেই তা বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা। প্রতিমা তৈরি হয়ে গেলেও, এখন ব্যস্ততা রং তুলির আঁচড়ে। রং-তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলছেন দেব-দেবীর অবয়ব।
প্রতিমা কারিগর আশিষ কুমার সিনহা জানান, এবার ছোট প্রতিমা বানিয়েছি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায়, মাঝারি প্রতিমা ১৮ থেকে ২০ হাজার এবং বড় আকারের প্রতিমা ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে।
বারঘরিয়া এলাকার প্রতিমা কারিগর অসিত পাল জানান, এ বছর বিভিন্ন মণ্ডপে ১২টি প্রতিমা তৈরি করেছি। প্রতিমা তৈরিই আমাদের কাজ। প্রতি বছর প্রতিমা তৈরি করেই পরিবার-পরিজন নিয়ে চলতে হয়। তবে এ বছর খরচ অনুযায়ী প্রতিমা তৈরি করে খুব একটা লাভবান হতে পারিনি। করোনার কারণে এবার কাজের অর্ডারও অনেক কম ছিল।