হত্যাসহ চার মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা

সুব্রত ওরফে সম্রাট ঘোষবগুড়া সদরের সামগ্রাম এলাকায় মন্দির চত্বরে হত্যাসহ চারটি মামলার আসামি সুব্রত ওরফে সম্রাট ঘোষকে (২৭) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার (২৫ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির এ তথ্য জানান।

ওসি জানান, সম্রাট বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি পূর্ব বিরোধের জেরে নিজ সংগঠনের সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়েছেন। ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি।

তবে এলাকাবাসী বলছেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও বালু ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ সদস্য ও এলাকাবাসী জানান, সুব্রত ওরফে সম্রাট ঘোষ সাবগ্রাম পালপাড়ার মনোরঞ্জন ওরফে কালীপদ ঘোষের ছেলে। রবিবার রাত ১টার দিকে তিনি সাবগ্রাম হাট কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দিরে প্রতিমা দেখতে যান। সেখান থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ির দিকে রওনা হন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার পথরোধ করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। সম্রাট মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে দৌড়ে মন্দির চত্বরের একটি টিনের ঘরে আশ্রয় নেন। দুর্বৃত্তরা সেখান থেকে তাকে টেনে বের করে কোপাতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এ সময় মন্দিরে থাকা ভক্তরা ভয়ে ছোটাছুটি করতে থাকেন। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। সম্রাট পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী হাড়ি জুয়েলের ছোট ভাই। তিনি পরিবহন শ্রমিক নেতা মনিরুজ্জামান মানিক হত্যার প্রধান আসামি। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র আইন ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে চারটি মামলা রয়েছে।

এলাকাবাসী আরও জানান, বিভিন্ন মামলার আসামি সম্রাটের সঙ্গে বালু ব্যবসা নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরোধ হয়। প্রতিপক্ষের লোকজন কিছুদিন আগে সাবগ্রামে সম্রাটের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এরপর থেকে তিনি বাড়ি ছেড়ে শহরে বসবাস করতেন। ছোট ভাই হাড়ি জুয়েল কিছুদিন আগে জেল

থেকে বের হয়ে সম্রাটের এক প্রতিপক্ষকে মারপিট করে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

সাবগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সালেহ নয়ন জানান, সম্রাট ২০১১ সালের দিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতি করতেন। বর্তমানে কোনও সংগঠনের সঙ্গে নেই। পূর্ব বিরোধের জেরে তিনি খুন হয়েছেন।

ওসি হুমায়ুন কবির জানান, হত্যার কারণ উদঘাটন ও ঘাতকদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক দল মাঠে রয়েছে। দুপুরে এ খবর পাঠানো পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল।