‘মৌলবাদের আস্ফালন সংস্কৃতি দিয়ে রুখতে হবে’

সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদমৌলবাদ রুখে দিতে লোকসংস্কৃতি চর্চার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেন, ‘মৌলবাদের আস্ফালন সংস্কৃতি দিয়ে রুখতে হবে। বাঙালির সাংস্কৃতিক ধারা অত্যন্ত ঐতিহ্যপূর্ণ। আমাদের সংস্কৃতিতে লোকসংস্কৃতির ভান্ডার। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে লোক সাংস্কৃতিক চেতনার ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। এর মাধ্যমে জঙ্গিবাদসহ যেকোনও ধরনের মৌলবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে ১৬তম বাংলা লোকনাট্য উৎসবের প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা ঘুরে দেখার সময় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সঙ্গে অন্যরাকে এম খালিদ বলেন, ‘বাংলাদেশে মৌলবাদ প্রতিহত করতে সাংস্কৃতিক কর্মীরা সব সময় আন্দোলন করে গেছেন। তারা সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস, ঐতিহ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। যদিও বিগত সময়ে কিছুকাল বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক আন্দোলন পদে পদে বাধার সম্মুখীন হয়েছে; তবুও তারা লোকসংস্কৃতি বিকাশের পথ গ্রাম থিয়েটারের মাধ্যমে সচল রেখেছেন।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান বিশ্ব করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে। এ কারণে গ্রামগঞ্জে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গ্রাম থিয়েটারের কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।’ তিনি বলেন, ‘মাস্ক হলো দ্বিতীয় ভ্যাকসিন। এ ব্যাপারে থিয়েটারের কর্মীদের কাজ করতে হবে।’ এ সময় প্রতিমন্ত্রী স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রামগঞ্জে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন।

পত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা ঘুরে দেখার সময় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সঙ্গে অন্যরা১৬তম বাংলা লোকনাট্য উৎসবের প্রধান সমন্বয়কারী কাজী সাইদ হোসেন দুলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. মো. মনসুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের সদস্য অ্যাডভোকেট আদিবা আনজুম মিতা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. কামরুজ্জামান, পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু এবং পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাস বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ এবং রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন থিয়েটারের সদস্য ও কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রতিমন্ত্রীর সম্মানে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।

পত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা ঘুরে দেখার সময় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সঙ্গে অন্যরাএর আগে প্রতিমন্ত্রী পুঠিয়া রাজবাড়ী, শিব মন্দির, আন্দিক মন্দির, গোবিন্দ মন্দির, দোল মন্দিরসহ রাজবাড়ি এলাকায় বিভিন্ন প্রত্ন নিদর্শন ঘুরে দেখেন।