দলাদলির কারণে বার সমিতির নির্বাচনে আ. লীগের ভরাডুবি

নির্বাচনে জয়ীরা



বগুড়া জেলা বার সমিতির নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও মহাজোট প্যানেলের ভরাডুবি হয়েছে। এজন্য দলাদলিকে দায়ী করছেন আইনজীবীরা। তারা এ পরাজয়ের নেপথ্যের কারিগরদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

রিটার্নিং অফিসার অ্যাডভোকেট বিনয় কুমার ঘোষ রজত জানান, শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ৭২০ জন ভোটারের মধ্যে ৬৯৫ জন ভোট দেন। ১৩টি পদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ আটটি পদে এবং বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও মহাজোট প্যানেল একটি সহ-সভাপতি, ম্যাগাজিন সম্পাদক ও তিনটি সদস্য পদে জয়লাভ করে। অপর প্যানেল গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির কেউ জয়ী হননি।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের শফিকুল ইসলাম টুকু ৩৬৩ ভোট পেয়ে
সভাপতি হয়েছেন। তার নিকটতম বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও মহাজোট প্যানেলের গোলাম ফারুক পেয়েছেন ২৮২ ভোট। ৩৪৬ ভোটে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের রফিকুল ইসলাম।



আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের শোচনীয় পরাজয়ের জন্য দলাদলিকে দায়ী করা হচ্ছে। পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তবিবুর রহমান তবির অভিযোগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি পিপি আবদুল মতিন ‘মোস্তাকের’ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ও তার সমর্থকরা নিজ দলের প্যানেলের পরিবর্তে গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি ও বিএনপির প্যানেলে ভোট দিয়েছেন। এ কারণে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের ভরাডুবি হয়েছে। তিনি বিষয়টি দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্ট নেতাদের অবহিত করবেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে পিপি আবদুল মতিন বলেন, দলাদলির কারণে তাদের পরাজয় হয়েছে।

তবে সাধারণ ভোটার আইনজীবীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা জাসদ, বাম দল সমর্থিত গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতিকে নিজেদের প্যানেলে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাদের অবজ্ঞা ও নিজেদের বেইমানির কারণে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। এ সুযোগে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে।