ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বাড়ি ডেকে টাকা আদায়, গ্রেফতার ৩

প্রেমের ফাঁদে ফেলে আপত্তিকর ছবি তুলে টাকা আদায়ের ঘটনায় বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানায় চার জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এরমধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এরা হলো, বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভদ্রদিঘি গ্রামের প্রবাসী সুজন প্রামাণিকের স্ত্রী রিনা বেগম (৩৭), কহুলী তালুকপুরের মিলন হোসেনের ছেলে লিটন হোসেন (২২) ও কহুলী গ্রামের আবদুল আলিমের ছেলে গোলাম রাব্বি (২০)।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার কালাকান্দর গ্রামের আবদুল মোত্তালেব (৩৬) সিলেটে চাকরি করেন। দেড় মাস আগে ‘শিপলু সাথী’ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে রিনা বেগমের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরে তাদের বন্ধুত্ব হয়। সম্প্রতি রিনা বন্ধু মোত্তালেবকে বাড়িতে দেখা করার অনুরোধ করে।

১৬ জুন সকালে ভদ্রদিঘি গ্রামে রিনার বাড়ির সামনে যায় মোত্তালেব। তখন রিনা ও তার দুই সহযোগী মোত্তালেবকে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তাদের আচরণে মোত্তালেব ভয় পেয়ে যায়। একপর্যায়ে মোত্তালেব চলে যেতে চাইলে এক লাখ টাকা দাবি করেন তারা। টাকা দিতে রাজি না হলে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। এ সময় আরও চার যুবক এসে মারধর করে তাকে। মোত্তালেবের পকেটে থাকা সাত হাজার টাকা নিয়ে যায় তারা।

এরপর তার নগ্ন ছবি তোলে এবং ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় তারা। একপর্যায়ে মোত্তালেব কিছু টাকা দিতে রাজি হন। পরে স্বজনদের ফোন করলে তারা ১৭ হাজার ২০০ টাকা বিকাশ করেন। এরপরও প্রতারকরা আরও ৮৫ হাজার টাকা দাবি করে।

একপর্যায়ে ওই দিন সন্ধ্যায় দুটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ছাড়া হয় মোত্তালেবকে। পরে নন্দীগ্রামে ফেরেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে নন্দীগ্রাম থানায় গিয়ে প্রতারক রিনা বেগম, লিটন হোসেন, গোলাম রাব্বী ও বুলু মিয়ার (৫৫) বিরুদ্ধে মামলা করেন মোত্তালেব।

থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, স্বামী সৌদি আরবে থাকায় রিনা প্রতারক চক্র গড়ে তোলেন। ফেসবুকে প্রেমিক বানিয়ে প্রতারণা করে আসছেন। নগ্ন ছবি তুলে ফেসবুকে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতেন। ইতোমধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এদিকে বিকালে তিন আসামির সাত দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়; আদালত তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানান ওসি।