‘তুফান’-এর দাম ৮ লাখ টাকা

ঈদুল আজহাকে লক্ষ্য করে মোটাতাজা করা হয় ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় ‘তুফান’কে। দিনে দিনে ওজন দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ২৭ মণে। বিক্রেতা দাম হাঁকছেন আট লাখ টাকা।

নওগাঁর সান্তাহার শহরের ফুলজান অ্যাগ্রো ফার্মে ‘তুফান’ ছাড়াও আছে ব্রাহমা, সিন্ধু, শাহীওয়াল জাতের আরও ৩৩টি বড় আকারের ষাঁড়। ফার্ম থেকে তুফান বা কাছাকাছি মূল্যে অন্য গরু কিনলেও তা ক্রেতার কাছে বিনামূল্যে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ফার্ম কর্তৃপক্ষ।

জেলার খামারিরা এবারের ঈদে প্রায় তিন লাখ ৮০ হাজার কোরবানির পশু প্রস্তুত রেখেছেন। গত বছর সংখ্যাটা ছিল প্রায় দুই লাখ ৫৮ হাজার।

লকডাউনে পশুর হাট বন্ধ থাকায় শুরুতে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন খামারিরা। পরে আবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২৮টি হাট চালানোর ঘোষণা দেয় জেলা প্রশাসন।

ফুলজান ফার্মে গরু দেখতে আসা শহীদুল ইসলাম জানান, মহামারিতে হাটে গিয়ে গরু কেনা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই গতবারের মতো এ বছরও ফার্ম থেকে সরাসরি গরু নিয়ে যাবো ঠিক করেছি।

ফুলজান অ্যাগ্রো ফার্মের পরিচালক ফুল মোহাম্মদ সবুজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা শুরু থেকেই প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে গরু বড় করে আসছি। কোনও রাসায়নিক ওষুধ প্রয়োগ করা হয় না। গরুগুলোর চিকিৎসা ও পরামর্শের জন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসকও আছেন। ইতোমধ্যেই ব্যবসায়ীরা কয়েকটি গরু কিনেছেন। আশা করছি, ঈদের আগে সবকটা বিক্রি হবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. হেলাল উদ্দিন খান বলেন, নওগাঁসহ সারাদেশের খামারিদের গবাদি পশু বিক্রির জন্য সরকার ইতোমধ্যেই নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট চালানোর অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যেসব খামারি গরু ঢাকাসহ দেশের অন্য স্থানে নিয়ে যেতে চান তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও আছে। আশা করছি খামারিরা লোকসানের মুখে পড়বেন না।