করোনাকালে একজনও না খেয়ে মারা যায়নি: খাদ্যমন্ত্রী

কৃষকের উন্নয়নে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেছেন, ‘কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। সার, বীজ ও বিদ্যুৎ কোনও কিছুর অভাব কৃষকের নেই। কৃষক ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে। সেই সঙ্গে ভোক্তার কাছেও চাল যৌক্তিক মূল্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। করোনাকালে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দরিদ্রদের ১০ টাকায় চাল দেওয়া হয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে নতুন করে অতিদরিদ্র উপকারভোগীদের অন্তর্ভুক্ত করে সেপ্টেম্বর থেকেই চাল বিতরণ করা হচ্ছে।’

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে ৮নং বাহাদুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘করোনাকালে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। সমাজের সব শ্রেণিপেশার জন্য আর্থিক প্রণোদনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের করোনা ব্যবস্থাপনা বিশ্বের কাছে প্রশংসিত হচ্ছে।’

সাধন মজুমদার বলেন, ‘তৃণমূল কর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণশক্তি। দলের ক্রান্তিকালে তারাই এগিয়ে এসেছে বারবার। অল্প কিছু দিনের মধ্যে নিয়ামতপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়ন যিনিই পান, নৌকার প্রার্থীর বিজয়ে নেতাকর্মীদের এক হয়ে কাজ করতে হবে।’ এ সময় তিনি শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

সভায় বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে নিয়ামতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সহ-সভাপতি ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব বক্তব্য রাখেন। এর আগে খাদ্যমন্ত্রী বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে নবনির্মিত শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন।