শিকল খোলার পর প্রতিবন্ধীর লাঠির আঘাতে বোন নিহত

বগুড়ার নন্দীগ্রামে মানসিক প্রতিবন্ধী ভাইয়ের লাঠির আঘাতে বড় বোন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের বীরপলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজমী আরা (৪২) ও তার ভাই মোকছেদ আলী (২৩) নন্দীগ্রাম উপজেলার বীরপলি গ্রামের মৃত কোরবান আলীর সন্তান। আমজী একই গ্রামের সুমন মিয়ার স্ত্রী। মোকছেদ আলী গত পাঁচ বছর ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত। তাকে বোনের বাড়িতে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। মাঝে মাঝে সুস্থ হলে শিকল খুলে দেওয়া হতো। কয়েকদিন সুস্থ থাকায় শুক্রবার সকালে তাকে গোসল করার জন্য শিকল খুলে দেওয়া হয়। এ সময় আজমী আরা সংসারের কাজ করছিলেন। মোকছেদ আলী সাবমারসিবল পাম্পের সুইচ দেন। আমজী দুইবার এসে তাকে সুইচ বন্ধ করতে বলেন। এতে মোকছেদ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে বাঁশের লাঠি দিয়ে বড় বোন আজমী আরার মাথায় আঘাত করেন। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্বজনরা অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নিলে কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান।

নন্দীগ্রাম থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, মোকছেদ আলী মানসিক প্রতিবন্ধী। দীর্ঘ পাঁচ বছর তাকে বোনের বাড়িতে শিকলে বেঁধে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। গত ২-৩ দিন সুস্থ থাকায় শুক্রবার সকালে গোসলের জন্য শিকল খুলে দেওয়া হয়। পানির পাম্পের সুইচ বন্ধ করতে বলায় মোকছেদ ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁশ দিয়ে বোনের মাথায় আঘাত করেন। পরে বোন আমজী হাসপাতালে মারা যান। ঘটনার পরপরই গ্রামবাসীরা আবারও প্রতিবন্ধী মোকছেদকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন। নিহতদের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে
আলোচনা করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনও মামলা হয়নি।