কলেজছাত্রী হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত

বগুড়ার আদমদীঘিতে কলেজছাত্রী শিরিন আক্তার হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সেনগুপ্ত ঘোষ (৩৪) সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ডালম্বা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে আদমদীঘি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আসলাম আলী সরকার সাজার বিষয়ে অবগত নন বলে জানিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সেনগুপ্ত ঘোষ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুসুম্বী গ্রামের সন্তোষ ঘোষের ছেলে। ২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর উপজেলার মুরইল ডুমুরী গ্রামের আজিজার রহমানের মেয়ে কলেজ ছাত্রী শিরিন আক্তারের পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়। এ মামলায় সেনগুপ্ত ঘোষ ২ নম্বর আসামি ছিলেন। ২০১৬ সালের রাজশাহীর বিশেষ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ মামলার প্রধান আসামি সোহেল ইবনে করিমকে ফাঁসি ও সেনগুপ্ত ঘোষকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন। করিম আত্মগোপন করেন এবং সেনগুপ্ত উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পান।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তিনি মোটরসাইকেলে করে সান্তাহার থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। বগুড়া-সান্তাহার সড়কের কাছে ডালম্বা এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ তার মোটরসাইকেলের চাকা ফেটে যায়। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা লাগে তার মোটরসাইকেলের। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথম আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় নিতে বলা হয়। ঢাকায় নেওয়ার সময় পথিমধ্যে তিনি মারা যান।

আদমদীঘি থানা পুলিশ জানায়, সড়ক দুর্ঘটনায় সেনগুপ্ত ঘোষ মারা গেছেন। তবে হত্যা মামলায় তার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন দণ্ড ঘোষণার পর জামিনে ছাড়া পাওয়ার বিষয়ে তারা অবগত নয়।

আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান জানান, রায়ের কিছুদিন পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এ আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। শুক্রবার নিজ গ্রামে সেনগুপ্ত ঘোষের সৎকার অনুষ্ঠিত হয়েছে।