সুজানগরে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ১০ 

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠেছে পাবনার সুজানগর উপজেলা। নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা বেড়েই চলেছে। সোমবার (৮ নভেম্বর) রাতে ভায়না ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রার্থী আমিন উদ্দিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন। এ সময় ১১টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়নের চালনা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। 

ভায়না ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আমিন উদ্দিন বলেন, রাতে আমার কর্মী সমর্থকরা নির্বাচনি প্রচারণায় মোটরসাইকেল শোভাযাত্র বের করেন। শোভাযাত্রাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে হেমরাজপুর গ্রাম হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুকের গ্রাম চালনায় পৌঁছে। এ সময় ফারুকের লোকজন অতর্কিতভাবে শোভাযাত্রায় হামলা চালায়। স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ভায়না গ্রামের বাদশা শেখের ছেলে আলতাব শেখকে মারাত্মক অবস্থায় প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
 
তিনি প্রশাসনের প্রতি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়ে হামলার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। 

তবে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ওমর ফারুক বলেন, নৌকা প্রতীকের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার সময় চালনা বাজারে এসে আমার নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করা হয়। এতে লোকজন বাধা দিলে হামলাকারীরা মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। হামলায় হাচেন আলীর ছেলে সবুজ, হোসেনের ছেলে আব্দুস ছালাম, সোহরাবের ছেলে আকমল মারাত্মক আহত হন। এদের মধ্যে সবুজকে রাজশাহী মেডিক্যা৪লে পাঠানো হয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সকালে থানায় ও নির্বাচন অফিসে অভিযোগ দেবো।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব বলেন, আমাদের এলাকায় নৌকা প্রতীকের অবস্থান এমনিতেই ভালো। উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার পরামর্শে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন ওমর ফারুক। এতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে আমরা সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আমরা কাজ করছি।  

সুজানগর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কোনও পক্ষ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এরআগে, রবিবার রাতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার সাগরকান্দি ইউনিয়নে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মানিকহাট ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় তিন জন গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন।