ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ পরাজিত প্রার্থীর

বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের নাটাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। ওই ওয়ার্ডের পরাজিত সদস্য প্রার্থী ইউনুস আলী আকন্দ বুধবার (১ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, ‘গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে তালা মার্কা নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নাটাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন মথুরাপুর জিএমসি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জিয়াউর রহমান ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ছিলেন সোনারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা নির্বাচনে সঠিকভাবে ভোট গণনা না করে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাকে ৮০৬ ভোট দেখিয়ে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থীকে ৮০৮ ভোট দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করেন। কিন্তু বারবার অনুরোধের পরও তারা ভোট আর গণনা না করেই চলে যান।’

তার আরও অভিযোগ, নির্বাচিত হওয়ার পরও অর্থের বিনিময়ে তারা তাকে দুই ভোটে পরাজিত করেছে। তাই এ বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘ভোট গণনার সময় ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পুনরায় ভোট গণনা করতে আরও সময় লাগবে তাই সম্ভব হয়নি। তবে অর্থের বিনিময়ে অন্য প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’

ধুনট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোকাদ্দেস আলী জানান, পরাজিত ওই প্রার্থী ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করতে পারেন। অনুমতি পেলে দুই প্রার্থী ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুনরায় ভোট গণনা করা যেতে পারে। এ ছাড়া আর কিছু করার নেই।