সময় শেষ, একটু ধাক্কা দিলেই সরকার পড়ে যাবে: গয়েশ্বর রায়

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জনগণ যখন কোনও সরকারকে চায় না তখন কোনও বিদেশি শক্তি রক্ষা করতে পারে না। যখন বিপদ আসবে পুলিশও তখন পাশে থাকবে না। জনগণই আমাদের শক্তি। তাই পাড়া-মহল্লায় আন্দোলন গড়ে তুলুন। সাহস করে রাজপথে নামলে সরকার বিদায় নেবেই। 

তিনি বলেন, যারা ১০ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে তাদের চোখে ঘুম নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাবসহ কিছু সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যক্তিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। এতেই তারা আতঙ্কিত। সামনে কার কার নাম আসবে তা দেখার অপেক্ষায় জাতি। গত ১২ বছরে অনেক করেছেন। এখন জাতির কাছে ক্ষমা চান, বিএনপির সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। আপনাদের সময় শেষ, একটু ধাক্কা দিলেই সরকার পড়ে যাবে। আমাদের অস্ত্রের দরকার নেই। জনগণই আমাদের অস্ত্র।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে বগুড়া জেলা বিএনপির আয়োজনে শহরের নবাববাড়ি রোডের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রেজাউল করিম বাদশার সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনার পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন- চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু। 

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান, বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান ও যুবদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান প্রমুখ।

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে আটকে রেখেছে সরকার। এটা দেশবাসী মেনে নিতে পারে না। তাই আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তারেক রহমানের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, যদি সরকার তা না করে আপনি (তারেক রহমান) সরকার পতন আন্দোলনের ঘোষণা দিন। সেই আন্দোলন বগুড়া থেকেই শুরু হবে।

জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন। সমাবেশে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। এ কারণে শহরের বিভিন্ন সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে বেগ পেতে হয়।