রাজশাহীতে রেকর্ড শনাক্ত, আরও ২ জনের মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে করোনা শনাক্তের হার ৭৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ। দেশে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রণ সংক্রমণের পর রাজশাহীতে একদিনে শনাক্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড এটি। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) এবং রামেক হাসপাতাল আরটি-পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় এসব করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

রামেক হাসপাতালের পরিচালকের দফতর জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ৯৪ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৮ জনের করোনা ধরা পড়েছে। একই দিনে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) ল্যাবে ৪৩৫ নমুনা পরীক্ষায় ৩১৭ জনের করোনা ধরা পড়েছে।

কেবল রামেক ল্যাবেই রাজশাহী জেলার ৩৭৬ নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৮৭ জনের। এছাড়া নাটোরের ৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৯ জনের এবং জয়পুরহাটের ৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এর আগে বুধবার এই দুটি ল্যাবে রাজশাহীর ৬০ দশমিক ৩৯ ও জয়পুরহাটের ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ নমুনায় করোনা ধরা পড়ে। 

এদিকে, রেকর্ড শনাক্তের দিনে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও দুই জন মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টার মধ্যে হাসপাতালের ২৯-৩০ নম্বর ওয়ার্ডে তারা মারা যান। এদের মধ্যে করোনায় মারা গেছেন একজন। তিনি কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা। এছাড়া করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন অন্যজন। তিনি পাবনা থেকে রামেক হাসপাতালে এসেছিলেন।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে করোনা সংক্রমণে একজন রোগী মারা গেছে। এছাড়া করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরেকজন। 

এদিকে, ১০৪ শয্যার রামেক করোনা ইউনিটে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ৪৯ জন। একদিন আগেও এই সংখ্যা ছিল ৪৯ জন।

বর্তমানে রাজশাহীর ২৮ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁচ জন, নওগাঁর তিন জন, নাটোরের চার জন, পাবনার তিন জন, কুষ্টিয়ার তিন জন, সিরাজগঞ্জের একজন, জয়পুরহাটের একজন, ঝিনাইদহের একজন এবং মেহেরপুরের একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

হাসপাতালে করোনা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ২৮ জন। করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৮ জন। করোনা ধরা পড়েনি ভর্তি ৩ জনের। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৮ জন। এই এক দিনে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১০ জন রোগী।