ডায়রিয়ায় স্কুলশিক্ষিকার মৃত্যু

রাজশাহীর বাঘায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন নাসরিন আক্তার নুপুর (৪২) নামে এক স্কুলশিক্ষিকা। রবিবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। 

নাসরিন আক্তার নুপুর বাঘা উপজেলার দিঘা মাস্টারপাড়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের স্ত্রী ও নাটোরের লালপুর উপজেলার বোয়ালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্বামী জালাল উদ্দিন।

জালাল উদ্দিন বলেন, ‌‘গত দুদিন ধরে পাতলা পায়খানা হচ্ছিল নাসরিনের। শনিবার রাতে অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে বমি শুরু হয়। রবিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক অবস্থা গুরুতর দেখে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। রাজশাহী মেডিক্যাল হাসপাতালের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আছরের নামাজের পর দিঘা পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।’

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জালাল উদ্দিন দিঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এই দম্পতির পাঁচ বছরের এক ছেলে ও তিন বছরের এক মেয়েসন্তান রয়েছে। 

বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাসেল আহমেদ বলেন, ‘ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছিলেন ওই স্কুলশিক্ষিকা। তার অবস্থা গুরুতর দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়েছে।’

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পার্থ মণি ভট্টাচার্য বলেন, ‘প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ডায়রিয়ায় পানিশূন্যতা দেখা দিলে লিভার কাজ করে না। লিভারে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া বয়স্ক মানুষজন অন্যান্য রোগে ভুগলে তার সঙ্গে ডায়রিয়া হলে, লিভারে সমস্যা থাকলে পানিশূন্যতায় মারা যায়। এসব রোগীকে সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়। হয়তো ওই স্কুলশিক্ষিকা অন্য কোনও রোগে ভুগছিলেন, সেই সঙ্গে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় মৃত্যু হয়েছে।’