২০১৪ সালের পর এমন তাপমাত্রা দেখেনি রাজশাহীবাসী

চৈত্রের খরতাপে পুড়ছে রাজশাহী। বেলা গড়াতেই প্রখর তাপ নিয়ে আলো ছড়াচ্ছে সূর্য। কড়া রোদ আর ভ্যাপসা গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। তীব্র দাবদাহে প্রকৃতিও নিস্তেজ। হালকা বাতাস থাকলেও সেটিও গরম ছড়াচ্ছে। প্রাণিকুলও ছড়াচ্ছে তপ্ত নিশ্বাস।

রাজশাহীতে শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। ২০১৪ সালের পর রাজশাহীতে এত তাপমাত্রা হয়নি। পবিত্র রমজানে এমন গরমে হাঁপিয়ে উঠেছে মানুষসহ পশু-পাখিরাও। বিশেষ করে রোজাদাররা বেশি কষ্টের মধ্যে পড়েছেন। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। সবখানেই তপ্ত আবহাওয়া। একটু স্বস্তির খোঁজে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও অটোরিকশা চালকরা গাছের নিচে আশ্রয় নিচ্ছেন। তবে সেখানেও তেমন একটা স্বস্তি নেই।

আজ রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মার্চের মধ্যভাগ থেকেই রাজশাহীতে দাবদাহ শুরু হয়েছে। সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। দেখা মিলছে বৃষ্টির। চারদিকে বৃষ্টির জন্য হাহাকার পড়ে গেছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। অসহনীয় রোদ, আর গরমে স্থবিরতা নেমে এসেছে জনজীবনে। তেতেছে ঘরের আসবাবপত্রও

নগরীর হেতমখাঁ এলাকার অটোচালক মতিউর রহমান বলেন, ‘তীব্র দাবদাহের কারণে বিকাল ৪টার পর বের হয়েছি।  এখন রোদের তাপ কম মনে হচ্ছে। সেই সঙ্গে মানুষও ঘর থেকে বের হচ্ছে। তবে ভ্যাপসা গরম আছে।’

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক মো. আব্দুস সালাম জানান, গত কয়েকদিন ধরে রাজশাহীর তাপমাত্রা বাড়ছেই। আজ তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। সাধারণত তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ হলে মাঝারি ও ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ বলে ধরা হয়। গত কয়েক বছরের মধ্যে এই মৌসুমের আজকের তাপমাত্রাই সর্বোচ্চ। ২০১৪ সালের চৈত্রে রাজশাহীতে আজকের চেয়ে বেশি ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

তিনি আরও জানান, সামনে বৃষ্টিপাতের তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে আজকের চেয়ে আর তাপমাত্রা তেমন একটা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।