বগুড়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আ.লীগ কর্মী নিহত, আহত ৫

বগুড়ার শিবগঞ্জে দোকানের মালিকানা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বজলুর রশিদ বুলু নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও পাঁচ জন। 

রবিবার রাতে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। এর আগে বিকালে উপজেলার মাঝিহট্ট ইউনিয়নের খেউনি বিন্নারপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

নিহত বজলুর রশিদ বুলু (৪৫) শিবগঞ্জ উপজেলার মাঝিহট্ট ইউনিয়নের খেউনি বিন্নারপাড়ার আজগর আলীর ছেলে। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। 

শিবগঞ্জ থানার ওসি দীপক কুমার দাস বলেন, হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, খেউনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দোকান ঘরের মালিকানা নিয়ে স্থানীয় ইন্তাজ ও বাদশা মিয়া গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জেরে রবিবার বিকাল ৩টার দিকে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে বাদশা মিয়া গ্রুপের বজলুর রশিদ বুলুসহ ছয় জন আহত হন। তাদের শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করলে রাতে বুলু মারা যান। 

মাঝিহট্ট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আহত বাদশা মিয়া বলেন, ইন্তাজ, মুক্তার ও শহিদুলসহ বেশ কয়েকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের দলীয় কর্মী বজলুর রশিদ বুলু মারা গেছেন।
আহত হয়েছেন আমার ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাতুল ইসলাম দুদু, মাইদুল ইসলাম ও বুলুর ছেলে মিনহাজসহ পাঁচ জন।

ওসি দীপক কুমার দাস বলেন, দোকানের মালিকানা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বজলুর রশিদ মারা গেছেন। আহত পাঁচ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন নারীকে থানায় আনা
হয়েছে।