বাঁশঝাড়ে ধর্ষণের পর শিশুকে হত্যা, কিশোর গ্রেফতার

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় নিমবাড়িয়া লক্ষ্মীরামপুর গ্রামে শনিবার (২৩ এপ্রিল) ছয় বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের পর তার লাশ বাঁশঝাড়ের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গত রাতে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁয় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া। 

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গত রাত ৯টার দিকে মান্দা উপজেলার নিমবাড়িয়া পশ্চিম লক্ষ্মীরামপুর গ্রামের একটি বাঁশঝাড় থেকে ছয় বছর বয়সী একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে রাতেই শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে স্থানীয় এক কিশোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের কাছে দেওয়া প্রাথমিক জবানবন্দিতে ওই কিশোর শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে শিশুটি অন্য শিশুদের সঙ্গে প্রতিবেশী গোবিন্দ চন্দ্র সাহার বাঁশঝাড়ে খেলছিল। এ সময় প্রতিবেশী কিশোর বাঁশঝাড়ে কঞ্চি কাটছিল। খেলাধুলা শেষে অন্য শিশুরা বিকালে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যায়। তবে ওই শিশুটিকে কৌশলে ডেকে নিয়ে বাঁশঝাড়ের পাশে অবস্থিত খড়ের পালার পাশে ধর্ষণ করে গ্রেফতার কিশোর। এ সময় শিশুটির রক্তক্ষরণ হলে সে কান্নাকাটি করে ও বিষয়টি বাবা-মাকে বলে দিতে চায়। ধর্ষণের ঘটনা ফাঁস হওয়ার ভয়ে ওই কিশোর শিশুটির প্যান্টের কিছু অংশ ছিড়ে তার মুখে গুজে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে বাঁশঝাড়ের ঝোপের মধ্যে বাঁশের পাতা ও কঞ্চি দিয়ে লাশ ঢেকে রাখে। শিশুটির প্যান্টের বাকি অংশ পাশের আত্রাই নদীর তীরে ফেলে দেয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাঁশঝাড়ের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটির লাশ দেখতে পেয়ে মান্দা থানা পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মান্দায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। ঘটনার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে গ্রেফতার তরুণকে রবিবার বিকালে আদালতে উপস্থাপন করা হয়।