সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলায় আইনুল হক নামের এক পুলিশ সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ধর্মপাশা চৌকি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াজুল কাউসার। মঙ্গলবার (১ জুলাই) অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে ধর্মপাশা চৌকি আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
সোমবার (৩০ জুন) রাতে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে আইনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্মপাশা থানায় নারী শিশু আইনে মামলা করেন। আইনুল হক সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউপির ইলামপুর দুভাগ গ্রামের নূর উদ্দিনের ছেলে।
ভুক্তভোগী এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন। থানার সামনে দিয়ে আসা যাওয়ার পথে আইনুলের সঙ্গে তার পরিচয়, এরপর তারপর প্রেম। গত ২৬ জুন ওই পুলিশ সদস্য ছাত্রীকে নিয়ে সুনামগঞ্জ শহরের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ওই ছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ দিলে আয়নুল তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক সময় ভুক্তভোগী বিষয়টি তার পরিবারকে জানান এবং আইনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, আইনুল হকের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে সুনামগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামালা সূত্রে জানা গেছে, ওই এইচএসসি পরীক্ষার্থীর সঙ্গে প্রথম বিয়ের কথা গোপন করে নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে পুলিশ সদস্য। গত ২৫ জুন পুলিশ সদস্য তাকে বিয়ে ও বেড়ানোর আশ্বাস দিয়ে সুনামগঞ্জ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর পর রাতে হোটেল কাটানোর সময় ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্য আইনুল হককে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে বিয়েতে রাজি হয়, কিন্তু প্রথম পক্ষের স্ত্রী আইনুল হকের দ্বিতীয় বিয়েতে প্রচণ্ডভাবে বাধা দেয়। আইনুল হক বিবাহিত ও সন্তানের জনক। সবকিছু গোপন করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।