শ্বশুরবাড়ি থেকে ঈদ উপহার না দেওয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

বগুড়ার শেরপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে ঈদের উপহার না পেয়ে মীম আকতার (২১) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। বিয়ের ৯ মাসের মাথায় বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের রণবীরবালা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

গ্রামবাসীরা স্বামী শাকিল আহমেদকে (২৫) আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মজনু আকন্দ মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

পুলিশ ও স্বজনরা জানান, একবছর আগে শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের রণবীরবালা গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে শাকিল আহমেদ ও পাশের কাফুরা গ্রামের মজনু আকন্দের মেয়ে মীম আকতারের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর প্রথম ঈদে শ্বশুরবাড়ি থেকে ঈদ খরচ হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু শাকিল নগদ টাকার পাশাপাশি ঈদ উপহারও আশা করেছিলেন। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। এর জেরে বুধবার সকাল ৭টার দিকে ক্ষিপ্ত হয়ে মীমকে বেধড়ক মারধর করেন। কিছুক্ষণ পর মারা যান।

শ্বশুরবাড়ির লোকজন মামলা থেকে বাঁচতে মীমের লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে দেন। এরপর লাশ নামিয়ে প্রতিবেশী ও বাপের বাড়িতে জানানো হয়, পারিবারিক কলহে আত্মহত্যা করেছেন। কথায় সন্দেহের সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিবেশীরা শাকিলকে আটক করে শেরপুর থানায় খবর দেন। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

বাবা মজনু আকন্দ অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে শ্বাসরোধে ও লাঠিপেটা করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

তবে গ্রেফতারের আগে শাকিল জানান, ঈদে শাড়ি কেনা নিয়ে ঝগড়া হওয়ায় মঙ্গলবার রাতের কোনও একসময় মীম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, নিহত মীমের গলায় কালো দাগ রয়েছে। হত্যা মামলা দেওয়ায় স্বামী শাকিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।