নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

২০২৩-এর নতুন শিক্ষাক্রম সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা একসময় পুরোপুরি মুখস্থ, সনদ ও পরীক্ষা নির্ভর ছিল। এখন তা থেকে বেরিয়ে সত্যিকার অর্থেই আনন্দময় শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ থাকবে। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা যা শিখবে তা যেন কর্মজীবনে প্রয়োগ করতে পারে।’

বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিকালে রাজশাহীর শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান মিলনায়তনে ‘গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১’ শীর্ষক অষ্টম ব্যাচের প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘এখন শুধু বিজ্ঞানমনস্ক হলে চলবে না, ইতিহাসও জানতে হবে। ইতিহাস ছাড়া দেশ ও জাতির সঠিক তথ্য জানা সম্ভব নয়। আমরা স্কুল কলেজে যা পড়ি না কেন- আমাদের ইতিহাস, দর্শন ও সংস্কৃতি জানতে হবে। গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। তাহলে দেশ ও জাতি তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।’

রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণহত্যা ট্রাস্টের সভাপতি ড. মুনতাসির মামুন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণহত্যা জাদুঘরের ট্রাস্টি ড. মো. মাহবুবর রহমান।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সৃজনশীল উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে গণহত্যা জাদুঘর। এই লক্ষ্যে সাতটি বিভাগীয় শহরে এ প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালিত হচ্ছে। দেশবরেণ্য গবেষক, শিক্ষক, ইতিহাসবিদ ও সাংবাদিকরা এসব কোর্সে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, সাংবাদিক ও গবেষক প্রশিক্ষণে যোগ দিচ্ছেন। প্রশিক্ষণ কোর্সের আওতায় মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, গণহত্যা ও গবেষণা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।