পাবনার কারখানায় উৎপাদন হতো বিদেশি ক্রিম

পাবনা সদরে ভেজালবিরোধী অভিযানে বিদেশি নকল প্রসাধনী তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ১০ রকমের বিপুল পরিমাণ বিদেশি নকল প্রসাধনী জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। এ ঘটনায় কারখানার মালিককে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (৮ জুন) দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল এ অভিযান চালায়। 

সাজাপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী হলেন পাবনা পৌর সদরের শালগাড়িয়া গোলাপবাগ মহল্লার মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে আসাদুজ্জামান মাসুম (৫৮)।

জব্দ করা প্রসাধনীর মধ্যে রয়েছে- হোয়াইট বিউটি ক্রিম, তুর্কি স্কিন হোয়াইট বিউটি ক্রিম, ৪শ’ প্লাস হোয়াইটিনিং ক্রিম, স্কিন কেয়ার হোয়াইট ক্রিম, ফাইজা বিউটি ক্রিম, লাবিবা হোয়াইটিনিং ক্রিম, গোল্ডেন গার্ল হোয়াইটিনিং ক্রিম, ডারমা প্লাস হোয়াইটিনিং বডি লোশন, ডক্টর দেবী হোয়াইটিনিং ক্রিম ও রজনীগন্ধা পারফিউম।

ডিবি পুলিশের ওসি আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল হাছনাতের নেতৃত্বে দুপুর ১টার দিকে শালগাড়িয়া গোলাপবাগ এলাকায় লিয়ন কসমেটিক কারখানায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় আটক করা হয় কারখানার মালিক আসাদুজ্জামান মাসুমকে। কারখানা থেকে ১০ রকমের বিপুল পরিমাণ বিদেশি নকল প্রসাধনী জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য দেড় লাখ টাকা।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল হাছনাত ওই কারখানা মালিককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।’ সাজাপ্রাপ্ত আসাদুজ্জামানকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।