রাজশাহীতে ৮টা বাজার সঙ্গেই পড়লো দোকানের শাটার

সরকারি নির্দেশ মেনেই রাত ৮টার পরে রাজশাহী নগরীতে দোকানপাট, বিপণিবিতান ও মার্কেট বন্ধ করেছেন ব্যবসায়ীরা। ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার (২০ জুন) রাত ৮টা থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

নগরীর সাহেবাজার এলাকায় রাজশাহী জেলা প্রশাসকের মোবাইল কোর্টের গাড়ি টহল দিতে দেখা গেছে। তবে দোকানে, বিপণিবিতানে ক্রেতা থাকলে আধাঘণ্টা বেশি সময় পর্যন্ত ক্রেতাদের কেনাকাটার সুযোগ রয়েছে।

সরেজমিনে নগরীর, সাহেববাজার, নিউ মার্কেট, রাণীবাজার, গণকপাড়া, আলুপট্টি এলাকার দোকানপাট, বিপণিবিতান ও মার্কেট বন্ধ করতে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের। প্রথমদিন হিসেবে ব্যবসায়ীদের মধ্যে বেশ আগ্রহ ছিল। ব্যবসায়ীরা রাত ৮টার আগে থেকেই দোকান বন্ধের প্রস্তুতি রেখেছেন। রাত ৮টা বাজার পরপরই দোকানপাট বন্ধ করে দেনয়। এ ছাড়া হোটেল ও খাবারের দোকানগুলো খোলা দেখা গেছে।

rajshahi2

অন্যদিকে, নগরীতে কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান, রেস্তোরাঁ খোলা দেখা গেছে। সেখানে অল্প ক্রেতা লক্ষ্য করা গেছে।

কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, সামনে ঈদ। ঈদে খরচের একটা বিষয় থাকে। বিগত বছরগুলোতে করোনার কারণে ব্যবসা করতে পারিনি। সেই সময় অনেকেই ঋণে পড়েছেন। এখন সবকিছু স্বাভাবিক হয়েছে; আমরা ভালোভাবে ব্যবসা করতে চাই। আবারো উঠে দাঁড়াতে চাই।

তারা আরও বলেন, এখন অনন্ত রাত ১০টা পর্যন্ত দোকানপাট, বিপণিবিতানগুলো খোলার অনুমতি পেলে ভালো হতো। কারণ সারা বছরে দুই ঈদকে ঘিরে বেশিরভাগ ব্যবসা হয়। সেই টাকায় সারাবছর চলতে হয়।

rajshahi3

রাজশাহী ব্যবসায় সমন্বয় পরিষদ ও উত্তরবঙ্গ বেকারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী বলেন, ‘সামনে ঈদ। ঈদকে ঘিরে ক্ষুদ্র ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সমস্যা হবে। কারণ করোনার কারণে বিগত বছরগুলোতে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে। সর্বশেষ গত বছর ব্যবসা হয়েছে। ঈদের পরে থেকে কার্যকর করলে ভালো হতো। আমরা ঈদ পর্যন্ত কোন টাইমলাইন চাচ্ছি না।’

রাজশাহীর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শকের উপ-মহাপরিদর্শক আরিফুর ইসলাম বলেন, ‘রাজশাহীর প্রায় সব দোকানপাট ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সাময়ের মধ্যে তারা বন্ধ করা হয়েছে। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দরা আমাদের সহযোগিতা করছেন। ভবিষ্যতেও এমন সহযোগিতা কামনা করছি।’