১৫ লাখের ‘বাংলালিংককে’ দেখতে ভিড়

এবার বগুড়ায় কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছে ‘বাংলালিংক’-এর নাম। ১৫০০ কেজি ওজনের বাংলালিংককে দেখতে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নাড়ুয়ামালা ইউনিয়নের বাওইটোনা গ্রামের খামারে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কোরবানির জন্য ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটিকে বিক্রি করতে মালিক ১৫ লাখ টাকা দাম চাইছেন। 

শুক্রবার বিকালে বগুড়া শহর থেকে ১০ কিলোমিটার পূর্বে গাবতলী উপজেলার নাড়ুয়ামালা ইউনিয়নের বাওইটোনা গ্রামে গিয়ে দেখা হয় খামারের মালিক রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের গাবতলী শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক জহুরুল ইসলাম জুয়েলের সঙ্গে। 

খামারে গিয়ে দেখা যায় প্রায় ফাঁকা। বিশাল আকৃতির একটি ষাঁড় খামারে আগতদের দেখে উচ্চশব্দে হাম্বা হাম্বা করতে থাকে। এ সময় জুয়েলের মেজো ভাই বাবলু সরকার এসে গায়ে হাত দিলে ষাঁড়টি শান্ত হয়। বিশাল সাইজের ষাঁড়টিতে দেখতে খামারে অনেক মানুষের ভিড় দেখা গেছে।

জুয়েল বলেন, দেখভাল করার তেমন কেউ না থাকায় অধিকাংশ গরু বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তবে কয়েকটি বিদেশি পাঁঠা আছে। এগুলোও শিগগিরই বিক্রি করে দেওয়া হবে। 

তিনি আরও বলেন, প্রায় সাড়ে চার বছর আগে বাড়ির পুরনো অস্ট্রেলিয়ান হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান গাভী একটি ষাঁড় প্রসব করে। বাচ্চাটি দেখতে অনেক সুন্দর ও নাদুস-নুদুস হওয়ায় নাম রাখা হয় বাংলালিংক। গত কয়েক বছরে ষাঁড়টির প্রায় ১৫০০ কেজি ওজন হয়। একে নিজ জমিতে চাষাবাদ করা নেপিয়ার ঘাস, খড় ও ভুসি খেতে দেওয়া হয়। প্রতিদিন খরচ প্রায় ৫০০ টাকা। কখনও কোনও ক্ষতিকারক ইনজেকশন বা মোটাতাজা করার চেষ্টা করা হয়নি। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে বাংলালিংককে লালন-পালন করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এবার কোরবানির ঈদে আট দাঁতের ষাঁড়টি (বাংলালিংক) বিক্রি করা হবে। তবে কোনও হাটবাজারে নিয়ে বিক্রির চিন্তা আপাতত নেই।

স্থানীয় সেলিম মিয়া বলেন, গরুটি সাইজে বিশাল। এত বড় গরু আশপাশে নেই। গরুটি দেখতে প্রতিদিনই অনেক মানুষ খামারে আসে।  

স্থানীয় পশু চিকিৎসক বলেছেন, ষাঁড়টির ওজন হবে প্রায় ১৫০০ কেজি। যতটুকু জেনেছি, যদি বগুড়ায় বিক্রি না হয়, তাহলে বাংলালিংককে ঢাকা বা চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে।  

বগুড়া জেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলার ১২ উপজেলায় ৪৬ হাজার ১৫ জন খামারি মোট চার লাখ ২৭ হাজার ২৯৫টি গবাদিপশু কোরবানির উপযোগী করেছেন। এ বছর জেলায় কোরবানি ঈদে পশুর চাহিদা রয়েছে তিন লাখ ৫৯ হাজার ৩৭টি। এ হিসাবে জেলায় অতিরিক্ত পশু রয়েছে ৬৭ হাজার ৯২০টি।