‘ঈদে খামারিদের ক্ষতি হতে দেবে না বিজিবি’

ঈদ উপলক্ষে সীমান্ত পথে অবৈধভাবে গরু প্রবেশ ও ঈদের পর চামড়া পাচার ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা কঠোর অবস্থানে আছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ। তিনি বলেন, ঈদের আগে গবাদিপশুর চোরাচালান এবং ঈদের পর চামড়া পাচার ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা প্রতিটি সেক্টরে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছি। বিশেষ করে যেসব এলাকা দিয়ে চামড়া পাচার হয় সেখানে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। 

সোমবার (৪ জুলাই) দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ রাজশাহী ব্যাটালিয়নের (১ বিজিবি) ২২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ঈদের আগে গবাদিপশুর চোরাচালান বেড়ে যায়। আমরা এবার চেষ্টা করছি, যাতে সীমান্ত দিয়ে গবাদিপশু বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে। কারণ, আমাদের দেশে উৎপাদিত পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মিটবে বলে জানিয়েছেন খামারিরা। খামারিরা যেন কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে বিষয়ে আমরা তৎপর রয়েছি। খামারিদের কোনও ক্ষতি হতে দেবে না বিজিবি। এজন্য প্রতিটি ব্যাটালিয়ন, সেক্টর এবং বিওপিকে সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মেজর জেনারেল সাকিল বলেন, আমাদের কর্মপরিধি অনেক বেড়েছে। বিওপি ও ব্যাটালিয়নের সংখ্যাও বেড়েছে। আমরা এখন চেষ্টা করছি, এক বিওপি থেকে আরেক বিওপির দূরত্ব কমিয়ে আনতে। ইতোমধ্যে বিওপিতে জনবল বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কোনও এলাকায় জনবল বেশি প্রয়োজন হলে অন্য এলাকা থেকে রিসোর্স বাড়ানো হয়। মোট কথা, সীমান্তে চোরাচালান কিংবা অবৈধ পাচার রোধে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। 

এর আগে, সোমবার রাজশাহী ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রীতিভোজ ও কেক কাটার আয়োজন করা হয়। ১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের প্রশিক্ষণ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রংপুর রিজিয়ন সদর দফতরের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নওরোজ, রাজশাহী ১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, পরিচালক লে. কর্নেল সাব্বির আহমেদ, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ এনডিসি, রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান, জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. মজিদ আলী প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন মহাপরিচালক। এরপর তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।